বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় | শিরোনাম | সর্বশেষ | স্বাস্থ্য » অচিরেই ডাক্তারদের ফি নির্ধারণ করে দিবে সরকার, চলছে কঠোর আইনের প্রক্রিয়া
অচিরেই ডাক্তারদের ফি নির্ধারণ করে দিবে সরকার, চলছে কঠোর আইনের প্রক্রিয়া
লালমোহন বিডিনিউজ :প্রায় ৩৪ বছর পর ডাক্তারদের চিকিৎসা বাবদ ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়াও করা হয়েছে, যা বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন ২০১৬ নামে অভিহিত হবে। নতুন আইন অনুযায়ী অফিস সময়ে কোনো ডাক্তার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কিংবা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন না। ছুটির দিনে নিজ জেলার বাইরে গিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন না। উল্লিখিত নিময় না মানলে ওই ডাক্তারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া আদালত উপযুক্ত মনে করলে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।
এছাড়া নতুন এ আইনে ডাক্তাররা সরকার নির্ধারিত ফি’র তালিকা চেম্বারের সামনে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে বাধ্য থাকবেন। আদায় করা ফি বাবদ রোগীকে রসিদ দিতে হবে। রশিদের মুড়ি ডাক্তার নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে বাধ্য থাকবেন। কোনো ডাক্তার স্বীকৃত, অনুমোদিত সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি ছাড়া কোনো যোগ্যতার বিবরণ সাইনবোর্ড, নামফলক কিংবা ভিজিটিং কার্ডে ব্যবহার করতে পারবেন না। মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে শতকরা ১০ ভাগ শয্যা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের অবহেলার অভিযোগ তদন্ত করবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। ওই সংস্থার তদন্তে কোনো ডাক্তার দোষী হলে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। পক্ষান্তরে কোনো ব্যক্তি ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মারা গেলে কিংবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভাংচুর করলে এবং এর ফলে কোনো ডাক্তার কিংবা বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে আক্রমণকারীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ফি আদায় করলে ডাক্তারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
আইনের খসড়া নিয়ে মঙ্গলবার এক বৈঠক শেষে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৮২ সালে এ সংক্রান্ত একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ওই আইন চলে আসছে। তবে যুগের পরিবর্তনের কারণে আইনটি প্রতিপালন হচ্ছে না। তাই নতুন করে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
বৈঠক শেষে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সনাল বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ চলছে। ডাক্তরদের ফি এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে আইনটি চূড়ান্ত করা হলে তাতে ডাক্তারের ফি ও চিকিৎসাসংক্রান্ত অন্যান্য চার্জ উল্লেখ থাকতে পারে। এর বাইরে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।