শনিবার, ৬ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » চাল ডাল খয়রাত নয়, চাই দ্রুত বেড়ীবাঁধ নির্মান” তজুমদ্দিনে জোয়ারের পানিতে ভাসছে ৫০হাজার মানূষ
চাল ডাল খয়রাত নয়, চাই দ্রুত বেড়ীবাঁধ নির্মান” তজুমদ্দিনে জোয়ারের পানিতে ভাসছে ৫০হাজার মানূষ
লালমোহন বিডিনিউজ ,মোঃ ফারুক,তজুমদ্দিন: তজুমদ্দিনে দুটি পয়েন্টে চার মাস আগে মেঘনার ভাঙ্গনে বেড়ীবাঁধ বিলীন হয়ে যাওয়ায় পুর্নিমা ও অমাবস্যার জো-তে জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়ে ২০ গ্রামের ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। এবারের অমাবস্যায় জোয়ারের চাপ বেশী থাকায় উপজেলা সদর সহ আরো নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রতিদিন দুইবারে প্রায় ৮ ঘন্টা জলাবদ্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। চাল ডালের খয়রাতি সাহায্য নয়, অতিদ্রুত বেড়ীবাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে বার বার তাগিদ দেয়া সত্বেও ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর কর্মকর্তারা বিষয়টি আমলে না নেয়ার অভিযোগ করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন স্থানিয় জনপ্রতিনিধিরা।
উপজেলার হাজিকান্দী ও চৌমহনী এলাকার দুইটি পয়েন্টে চার মাস যাবৎ বেড়ীবাঁধ না থাকায় তজুমদ্দিনের সর্বত্রই অনায়াসে প্রবেশ করেেছ মেঘনার জোয়ারের পানি। শুক্রবার ও শনিবার বেলা ১.০০ টায় সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অমাবস্যার জো থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়েও ৩/৪ ফুট পানি বেশী হওয়ায় উপজেলা সদর সহ আস পাশের বাড়ী ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলা সদরের মুল ফটক, শহরের মেঘনা রোড, প্রানী সম্পদ দপ্তর এলাকা, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সহ দড়িচাঁদপুর, পাটওয়ারীকান্দি, হাজিকান্দি, দালালকান্দি, আড়ালিয়া,শশীগঞ্জ, মাওলানাকান্দি, মহাজনকান্দি, মধ্যচাদপুর, ভুলাইকান্দি,তালুকগ্রাম, ভূঁইয়াকান্দি, বালিয়াকান্দি, দেওয়ানপুর, ডাক্তারকান্দি, কাজিকান্দি, শিকদারকান্দি ও দাসপাড়া,কেয়ামুল্যা সহ প্রায় ২০ গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে আছে। এছাড়া মলংচড়া, সোনাপুর ও শম্ভুপুর ইউনিয়নেও অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। হাজিকান্দি গ্রামের মোঃ কবির পন্ডিত জানান, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে বেড়ীবাঁধ নির্মান করা যেত,তা না করে কাঁদামাটি পানিতে হরিলুট করার জন্যই জনগনকে ভোগান্তি দেয়া হইতেছে। শশীগঞ্জ গ্রামের মাও মোঃ হাবিব হারুন জানান, শুধু মেঘনার পানি হলে সমস্যা ছিলনা, পানির সাথে যাবতীয় ময়লা আবর্জনায় রান্নাঘর,বেডরুম,বাথরুম সব যেন ময়লা নোংরা পানিতে একাকার হয়ে চোখে ধোঁয়া ধোঁয়া দেখি। রোগ জীবানু বৃদ্ধি পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। চাদপুর গ্রামের শাহে আলম বলেন, খয়রাতির চাল ডাল চাইনা, চাই তারাতারি বেড়ীবাধ নির্মান করা হোক। আড়ালিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন বলেন,পানিতে চাল চুলা সবই ভেসে যায়, পারিনা সইতে, পারিনা কইতে, যাদের কারনে ২৫ হাজার পরিবারের এই দুর্গতি, তাদের বিচার কে করবে ? তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালালউদ্দিন মানুষের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, রোজা এবং ঈদ উপলক্ষে দুর্গতদের মাজে প্রায় একশত মেঃ টন চাল বিতরন করা হয়েছে।। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্জ অহিদউল্যাহ জসিম বলেন, তদবীর করার পরও ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর কর্মকর্তাদের গাফেলতির কারনে আজ তজুমদ্দিনের মানুষের এই চরম দুর্ভোগ।
এমপি মহোদয়ের নির্দেশে বেড়ীবাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম তাই কিছুটা সময় লাগবে।