রবিবার, ১৭ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় ধর্ষকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, তদন্তে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের টিম
মনপুরায় ধর্ষকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, তদন্তে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের টিম
লালমোহন বিডিনিউজ ,সীমান্ত হেলাল মনপুরা : ভোলার মনপুরা উপজেলার চরফৈজুদ্দিন এলাকার সাবেক এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও মামলার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রোববার বিচার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় কয়েকশ নারী পুরুষ।
এদিকে পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের নির্দেশে গতকাল লালমোহন জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম সকাল থেকে ঘটনার তদন্তে ওই এলাকায় অবস্থান নেন। জনতার হাতে গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে আটক সাবেক মেম্বার আবু জাফরকে এই ধর্ষন মামলার আসামী করা হয়েছে।
থানার ওসি’র চাপে ভিকটিম-সাবেক মেম্বার আবু জাফরকে আসামী করেছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি শাহীন খান। তিনি জানান, গত ১২ জুলাই রাত ৮ টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের চৌমুহনী বাজারের পূর্বপাশে এক গৃহবধূর সাথে ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবু জাফর অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। ওই অবস্থায় স্থানীয় জনতা ধরে গণধোলাই দিয়ে বেঁধে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে জনতার রোষ থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এলাকার সাধারন মানুষের সামনেই ওই গৃহবধূ থানায় এসে, জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে শ্লিলতাহানীর অভিযোগ এনে আটক ওই সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আবার ওই গৃহবধূই ভোলায় গিয়ে এসপির কাছে আমার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মামলা নেয়ার অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক ইউপি মেম্বারকে বাঁচাতে একটি গ্রুপ মাঠে নেমেছে। তারাই ভিকটিমকে ম্যানেজ করে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল ভিকটিমের স্বামী বাবুল স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানান, সাবেক মেম্বার আবু জাফর অনৈতিক কাজ করেছেন তিনি শুনেছেন, এমন অভিযোগ তিনি তদন্তটিমের কাছেও পেশ করেন।
অপরদিকে সহকারী পুলিশ সুপারের তদন্তকালেও স্থানীয় কয়েকশ নারী পুরুষ সাবেক ওই ইউপি সদস্যের একাধিক নারী কেলেংকারীর বিষয় তুলে ধরেন। ভিকটিমের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলেও অনেকে সাক্ষ্যদেন। অভিযুক্তের অসামাজিক কাজের বিচার-শালিশ এর আগেও বহুবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান করেছেন বলে জানা যায়। তবে সাবেক মেম্বার আবু জাফরের পক্ষে তার স্বজনরা জানান, ইউপি নির্বাচনের রেশ ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।