বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে সাড়ে তিন হাত জমির সংকটে একই লাশ দুইবার দাফন
লালমোহনে সাড়ে তিন হাত জমির সংকটে একই লাশ দুইবার দাফন
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহনে সাড়ে তিন হাত জমির সংকটে ভূমিহীন পরিবারের মোঃ খলিলুর রহমানে লাশ দুইবার দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
বুধবার রাত আনুমানিক ১টার সময় লালমোহন পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে ।
জানা যায়, লালমোহন পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ড কৃষ্ণ পুইরা বাড়ীর সহায় সম্বল ও ভূমিহীন মোঃ খলিলুর রহমান গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৃত্যূবরন করেন । তার লাশ দাফনের জন্য তার নিজস্ব কোন কবরের জায়গা না থাকায় একই বাড়ীর ডাঃ আঃ জলিল এর কাছে জায়গা দাবী করে মৃতের পরিবার । ডাঃ আঃ জলিল জামাতে থাকার কারনে নিজে স্ব-শরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলে ও তার লঞ্চঘাট মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় মৃতের লাশ দাফন করার অনুমতি দেন বলে জানা যায় ।
কবরের জায়গার ব্যবস্থা হলে পরদিন বুধবার সকাল ১০টায় ডাঃ জলিলের জায়গায় কবর খূঁড়ে দাফন করা হয় খলিলুরের লাশ ।
কিন্তু এই কবরের জায়গা ডাঃ জলিলের নয় বলে বাঁধ সাধেন লালমোহন বাজারের রাশেদ গার্মেন্টস এর মালিক নাসির খাঁন ও উজ্জল গার্মেন্টস এর মালিক মাহবুব খাঁন ।
কবর থেকে লাশ সরানোর জন্য অনঢ় নাছোর বান্দা নাছির খাঁন ও মাহবুব খাঁন। তাদের চাপে পড়ে অবশেষে বুধবার রাতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনে বাধ্য হন মৃতের পরিবার ।
পরবর্তীতে বুধবার রাত ১টার সময় ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেনের সহায়তায় একই এলাকার সলেমান হাং বাড়ির দরজায় দাফন করা হয় হতভাগ্য খলিলুরের লাশ।
অপরদিককে সাড়ে তিন জমির দাবীতে কবর থেকে লাশ উঠাতে বাধ্য করার মত ঘৃন্যতম কাজ করায় নাসের খাঁন ও মাহবুব খাঁন কে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় লঞ্চঘাট এলাকা থেকে একটি ঝাড়ু মিছিল লালমোহন চৌরাস্তা মোড় প্রদক্ষিন করে । এসময় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী বলেন, নাছির খাঁন ও মাহবুব খাঁনের মত জমি লোভী ও নাস্তিকের দোকান থেকে কেউ কোন পোষাক ক্রয় করবেন না।
এ সম্পর্কে কাউন্সিলর মোঃ ইমাম হোসেন জানান, লঞ্চঘাট এলাকায় ডাঃ জলিলের জায়গায় লাশটি দাফন করার কথা থাকলে ও মৃতের পরিবার ভূলবশত অন্যের জায়গায় দাফন করেছে । অপরদিকে যাদের জায়গা তারা সেটা কোন মতেই মানতে রাজি নয় বলেই লাশ উত্তোলন করে মৃতের পরিবার । পরবর্তীতে আমরা আমাদের পুরান বাড়ির কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করি।