
মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » তজুমদ্দিনে ঈদ কেনা কাটায় মার্কেটে মহিলাদের উপচে পড়া ভিড়
তজুমদ্দিনে ঈদ কেনা কাটায় মার্কেটে মহিলাদের উপচে পড়া ভিড়
লালমোহন বিডিনিউজ ,সাদির হোসেন রাহিম, তজুমদ্দিন : রমজানের দুই-তৃতীয়াংশ শেষে, যতই ঈদ ঘনিয়ে আসছে ততই মার্কেট গুলোতে নারী
সমাজের উপচে পড়া ভিড়। রমজানের শেষে এলো খুশির ঈদ, এই অপেক্ষামান
দিনটিকে স্বাচ্ছন্দ্য কাটাতে কেনা কাটার এক বিরাট মুখরিত পরিবেশ বিরাজমান
করছে। এর আলোকপাতে ভোলার তজুমদ্দিনে নারী সমাজের মাঝে ব্যাপকভাবে
বিস্তৃতি দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিন । ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা যার
যার সাধ্য অনুযায়ী তাদের দোকানকে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড়-চোপড়, প্রসাধনী,
জুতা,অংলকার ও নিত্য প্রয়োজনী জিনিস পত্র দিয়ে সাজিয়েছেন। শুধু তাই নয়
দোকানকে বিভিন্ন রঙ-বেরংঙ্গের অতিরিক্ত আকর্ষনীয় বাতি দ্বারা সুসজ্জিত করছে
যা ক্রেতাদের আকৃষ্টপূর্ন। রমজানের শুরুর আগ থেকে উপজেলা সদর মেইন রোড,
উত্তর- দক্ষিণ খাসের হাট, মুচি বাড়ির কোণা সহ বিভিন্ন স্থানের বিপণী
গুলোকে জাকজমক করেছেন ঈদ সামগ্রী দিয়ে। দেখা গেছে, সকাল থেকে গভীর রাত
পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বাজার গুলোতে নারী সমাজের কেনা
কাটার কোলাহোল। রাতে কেনা কাটায় সমন্ধে বেশ কিছু মহিলার কাছে জানতে
চাইলে তারা বলেন- দিনের বেলা রোজা থেকে খুবই ক্লান্ত ভোগ করি অন্যদিকে
পারিবারিক কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকি বলেই সকালের দিকে কেনা কাটায় অংশ নিতে
না পাড়ায়, আমরা রাতে কেনা কাটায় অংশ নিতে এসেছি। দোকানদার, সংবাদিক সহ
জনসাধারণ অভিমত প্রকাশ করছেন- শতকরা হিসাব করলে এবার মার্কেটে ৯০জন মহিলা
আর ১০জন পুরুষের দেখা মিলে। উপজেলার দক্ষিণ খাসের হাট বাজারের
সানজিদা, অভি, লিটন গার্মেন্টস এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- গত কয়েক বছরের
তুলনায় এবার মার্কেট গুলোতে অধিক হারে নারী সমাজের ভিড় লক্ষ্যনীয়। বেচা
কেনা ইনশাআল্লাহ ভালো, তাছাড়া আমরা রমজানের আগেই ঢাকা থেকে ক্রেতাদের
আকর্ষর্নীয় সামগ্রী দিয়ে দোকান সাজিয়েছি । ক্রেতা রিমা জানায় - ঈদ কেনা কাটা
সম্পূর্ণ করেছি কিন্তু বেশি দোকান দেখতে হয় নি। মনে হচ্ছে জিনিস-পত্রের দাম
বেশি নিচ্ছে । ব্যবসায়ী ও কর্মীদের সাথে আলাপনে বলেন- গত বছরগুলোতে যেমন
ভারতীয় সিরিয়াল-চলচ্চিত্র নামে পাখি, ঝিলিক, কিরনমালা, পাগলু,
টাপুরটুপুর,আশিকি টু সহ বিভিন্ন নামের সামগ্রীর খুব চাহিদা ছিল, এবছর তা
হারিয়ে দেশীয় পোশাকের অত্যাধিক চাহিদা। তজুমদ্দিন সদর মার্কেটে দেখা
মিলে জোসনা, লিপি, রুনু বেগম সহ বেশ কয়জন মহিলাদের। এই সমন্ধে জানতে
চাইলে তারা ভিন্ন ভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে বলেন - স্বামী দেশের বাহিরে
থাকায় পুরো পরিবারের ঈদ উৎসবের কেনাকাটার ভার তার উপর। আবার অনেকে
প্রকাশ করেন- কারো স্বামী অফিসে ,কারো স্বামী ব্যবসায়ী কাজে ব্যস্ত থাকায়
তাই তাদেরকে ঈদ কেনা কাটায় একাই অংশ নিতে হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কেটে
স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ঢল বেশ লক্ষনীয়। কথার প্রতি উত্তরে
শিক্ষার্থীরা বলেন- আমদেরকে ঈদ উৎসব স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে ঈদের পূর্ব
মুহুর্তে উপবৃত্তি ও বৃত্তির টাকা প্রধান করা হয়েছে, এতে করে প্রয়োজনীয়
সকল কেনা কাটায় অংশ নিতে সক্ষম হচ্ছি। মার্কেটের ভিতরে বিশেষ করে
গার্মেন্টস, কসমেটিকস, টেইলার্স, অলংকার হাউজ, ইলেকট্রনিস পয়েন্ট গুলোর
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ব্যস্ত সময় ও দিন-রাত নির্ঘুমে কাটাছেন। স্বর্ণের
দাম কমে যাওয়ায় পোশাক ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি অংলকার কিনতে
অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। এই বিষয়ে অংলকার হাউজ ও টেইলার্স কর্তৃপক্ষরা
বলেন- সবাই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঈদের আগের দিন চাচ্ছে, এতে আমরা
কর্মচারী বাড়িয়ে নির্ঘুমে কাটানোর পরেও হিমসীম খাচ্ছি যথা সময় অংলকার
দিতে পারবো কিনা। তাই সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময়, পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে পাড় করছি।