শনিবার, ২ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহন জমি-জমা বিরোধের জের ধরে দোকান ও বসতঘরে হামলা,কুপিয়ে জখম
লালমোহন জমি-জমা বিরোধের জের ধরে দোকান ও বসতঘরে হামলা,কুপিয়ে জখম
লালমোহন বিডিনিউজ ,শান্ত সাহা, লালমোহন : লালমোহনে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভিটা-জমি দখলের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গৃহিনীকে বেদম পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করাসহ গৃহের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সদর লালমোহন ইউনিয়নের কালিরটেক বাজারে বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহিনীকে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে চর লালমোহন মৌজার এস,এ ২১৬নং খতিয়ানে ৪৫৫০ নং দাগে ১ সমস্ত ৩ এর ১ শতাংশ বা ৪ কড়ি জমি খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে মোস্তফা কামাল ও তার পিতা খোরশেদ আলম ১৯৯৬ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোড় দখলে বিদ্যমান রয়েছেন। কালিরটেক বাজারটি সৃষ্টি হওয়ার পরে উক্ত জমিতে ঘর তুলে মোস্তফা কামাল ও খোরশেদ আলমরা বসবাস করতে থাকে। একই এলাকার আছমত আলীর পুত্র হামিদ মাষ্টার দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত ভটা-জমি দখলের পায়তারা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে মোস্তফা কামালের খরিদকৃত ও ভোগ দখলীয় ভিটি হানিফ মাষ্টার জোর পূর্বক দখল করে নিলে অসহায় মোস্তফা কামালের পিতা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে লালমোহন নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট এ ও লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদে তাহার ভিটি জমির দাবিতে দরখাস্ত করেন। তৎকালীন লালমোহন ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হাই ও তার পরিষদবর্গ এলাকার গন্যমান্যদের নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে নৌবাহিনী কমান্ডারসহ ২০০৭ সালের দিকে বসাবসির মাধ্যমে খোরশেদ আলমের দাবির সত্যতা পেয়ে জবর দখলকারী খলিল মাষ্টারকে জমি ছেড়ে দিতে বলেন এবং সিমানা লঙ্গন না করার কথা বলে যান। কিন্তু থেমে নেই জবর দখলকারী হানিফ মাষ্টার। পুনরায় জমিদখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার হানিফ মাষ্টার, জাকির, আনোয়ার, শাকিল, সেকান্তর, কালাম, নয়নসহ একদল ক্যাডার বাহিনী দা, ছেনি, কুড়াল, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে কালিরটেক বাজারে মোস্তফা কামালের দোকান তথা বসতঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ঘরে থাকা মোস্তফা কামালের স্ত্রী বিবি হনুফাকে অপহরণ ও ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। জীবনের মায়া সাঙ্গ করে হনুফা চিৎকার দিলে তাকে হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করে ও এলোপাথারী বেদম মারপিট করে। হনুফাকে টানাহেচঁড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায় বলে অভিযোগ করেন হনুফা ও তার পরিবার। স্থানীয় আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার দাবি করছেন।