
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » চার দিনে ১৪৫ জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার ১১৬৮৪
চার দিনে ১৪৫ জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার ১১৬৮৪
লালমোহন বিডিনিউজ : পুলিশের জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার হয়েছে ২৬ জঙ্গিসহ তিন হাজার ১১৫ জন। সোমবার ভোর ছয়টা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান এ তথ্য জানান। এ নিয়ে চার দিনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৬৮৪। এর মধ্যে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪৫ জনকে।
গত শুক্রবার ভোররাত থেকে গত শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রথম দিনের অভিযানে সারা দেশে গ্রেপ্তার করা হয় তিন হাজার ১৯২ জনকে। তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন জঙ্গি ৩৭ জন। শনিবার সকাল থেকে পরদিন রবিবার সকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনে দুই হাজার ১৩২ জন গ্রেপ্তার হয় অভিযানে। এর মধ্যে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় ৪৮ জনকে। রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয় তিন হাজার জনকে। মঙ্গলবার অভিযানের পঞ্চম দিন চলছে।
পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম দিনে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ৩৭ জনের মধ্যে ২৭ জন জেএমবি ও সাতজন জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশের রয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় জানায়নি পুলিশ সদর দপ্তর। ওই দিন গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ১ হাজার ৮৬১ জন, নিয়মিত মামলার ৯১৭ জন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মামলার ১৯ জন ও মাদক উদ্ধার মামলার ৩৫৮ জন রয়েছে।
দ্বিতীয় দিনে গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিবাদে অন্যদের মধ্যে ১ হাজার ৪৯৬ জন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। আর নিয়মিত মামলার আসামি ৫৮৮ জন।
তৃতীয় দিনের অভিযানে পরোয়ানার দুই হাজার ৫৭৮ জন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ১৯ জন, মাদক উদ্ধার মামলায় ১৬০ জন ও অন্যান্য মামলায় ৪৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চতুর্থ দিনের অভিযানে পরোয়ানার দুই হাজার ৩৬৮ জন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ৩৮ জন, মাদক উদ্ধার মামলায় ২৯৫ জন ও অন্যান্য মামলায় ৩৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ জুন চট্টগ্রামে পুলিশের এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতা খুন, একই দিন নাটোরের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী সুনীল দানিয়েল গোমেজ এবং পরদিন ঝিনাইদহে আশ্রমের সেবক আনন্দ গাঙ্গলী খুন হন। এই পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই অভিযান নিয়ে বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করছে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে এ অভিযান পরিচালনা করছে সরকার। তবে গতকাল চট্টগ্রামে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক দাবি করেন, পুলিশ কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে না।