শুক্রবার, ২৭ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » তজুমদ্দিনে বহুবিয়ের নায়ক সাহাবুদ্দিন গ্রেপ্তার
তজুমদ্দিনে বহুবিয়ের নায়ক সাহাবুদ্দিন গ্রেপ্তার
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা প্রতিনিধি :ভোলার তজুমদ্দিনে বহু বিয়ের নায়ক সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগবী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তার নিজ বাসায় থেকে তজুমদ্দিন থানার এস আই জাফরুলের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁতে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে । পরে শুক্রবার সকালে সাহাবুদ্দিনকে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ পূবে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগবী ইউনিয়নের ২নং আব্দুর রশিদ ছেলে মোঃ সাহাবুদ্দিন (৩৫) এর সাথে তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের মোঃ সেন্টু পাটওয়ারীর মেয়ে কহিনুর বেগম ঝর্ণার বিয়ের হয়। বিয়ের সময় সাহাবুদ্দিনকে নগদ এক লক্ষ টাকা, আট আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি, এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। এর পর ও খ্যান্তহননি সে বিয়ের পর থেকে সাহাবুদ্দিন তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে যৌতুকের দাবি করে আসছে । মেয়ের সুখের কথা ভেবে সেন্টু পাটওয়ারী একটি মাটি কাটার ড্রেজার,১০০ সিসি ডিসকাবার মটর সাইকেল আরো নগদ এক লক্ষ টাকা দেন সাহাবুদ্দিনকে। এত কিছু পাওয়ার পরও বিয়ের সাদ মিটিনি বহুবিয়ের নায়ক সাহাবুদ্দিনের । সে প্রথমে মোবাইলের মাধ্যমে পরকিয়া প্রেম করে ঢাকার রুজিনাকে বিয়ের করে। বিয়ের পর রুজিনা জানতে পারে যে , সাহাবুদ্দিন স্ত্রী ও দ্ইু সন্তান রয়েছে। তখন সে সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে চলে যায়। এর পর পরিচয় হয় চরফ্যাসন উপজেলার নজরুল নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরনল্লা এলাকার মোঃ নবীউল্যাহ মেয়ে নীরার সাথে প্রথমে পরিচয় পরে বিয়েতে পরিণত সাহাবুদ্দিন নীরার প্রেম কাহীনী। এ দিকে স্বামীকে হাড়িয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন দুই সন্তানের জননী কুহিনুর বেগম ঝর্ণা। স্বামীর বিয়ের খবর শুনে বারবার ছুটে যান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নীরার বাড়িতে । সেইখানে গিয়ে দুই সন্তানকে দেখিয়ে নীরার কাছে স্বামীকে ভিক্ষা চান ঝর্ণা। ঝর্ণার আর্তনাত দেখে নীরার বাড়ির লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পরলেও সামান্যতম দয়া হয়নি নীরার। কোন উপায় না পেয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে প্রথমে ভোলা কোর্টে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন কহিনুর ঝর্ণা। সেই মামলায় জামিনে এসে ঝর্ণাকে নানাভাবে হয়রানি করেন সাহাবুদ্দিন। পরে সাহাবুদ্দিনের অত্যাচারের হাত থেকে বাচাঁর তজুমদ্দিন থানায় নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে মামলা করেন কহিনুর বেগম ঝর্ণা।
এ ব্যাপারে কহিনুর বেগম ঝর্ণা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, একটি মেয়ের জীবনে স্বামীই হল সব চেয়ে মূল্যবান। আর সেই স্বামীই যদি সাবেক স্ত্রী সন্তান রেখে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারে তাহলে এই জীবন মূল্যহীন।
এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এ. কে এম শাহিন মন্ডল জানান,আসামী সাহাবুদ্দিন অত্যান্ত দূর্চরিত্রের । মামলার পর থেকে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখে গত ২৬ মে গবীর রাতে তাঁেক গ্রেপ্তার করে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করেছি।