শনিবার, ২১ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় ‘রোয়ানু’র আঘাতে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত, ১ নবজাতকের মৃত্যু, ৫ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধে ধ্বস, জোয়ারের পানিতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধি
মনপুরায় ‘রোয়ানু’র আঘাতে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত, ১ নবজাতকের মৃত্যু, ৫ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধে ধ্বস, জোয়ারের পানিতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধি
লালমোহন বিডিনিউজ ,সীমান্ত হেলাল মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি : মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও ৫ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে ৫-৬ ফুট জোয়ারে পানি প্রবেশ করে। এতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। এসময় প্রচন্ড ঠান্ডায় তিন দিন বয়সের ১ নবজাতকের মুত্যু হয়। এছাড়াও মনপুরার সর্ববৃহৎ ২১০ একরের চৌধুরী ফিসারিজের খামার বাড়িটি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঘূর্ণীঝড়ে নিহত নবজাতক সামিয়া উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আর্দশ গ্রামের বাসিন্দা তসলিমের মেয়ে।
শনিবার বেলা ১২ টার পর থেকে ঘূর্ণীঝড় ‘রোয়ানু’ প্রভাব বৃদ্ধি পেয়ে প্রচন্ড বেগে ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি প্রবল বৃষ্টিপাত হতে থাকে। এসময় হাজিরহাট শহররক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে প্রায় ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানি প্রবাহিত হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়াও মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীর চর ও চরনিজাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই সমস্ত চরাঞ্চলে আশ্রয়ন কেন্দ্র না থাকায় মানুষ উচুঁ মাটির কিল্লা ও ঘরের চালে আশ্রয় নেয়।
বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীর চরে কারিতাসের মাঠ কর্মী লুইস সরকার মুঠোফোনে জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। ঘরের চালে আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।
বিচ্ছিন্ন চরনিজামে রেডক্রিসেন্টের মাঠকর্মী মাকছুদ মুঠোফোনে জানান, ৬-৭ ফুট জোয়ারের পানিতে চরনিজাম তলিয়ে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় মানুষ দলবেঁধে মাটির কিল্লায় আশ্রয় নিচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, নায়েবেরহাট, সোনারচর বেড়ীবাঁধ, মনপুরা ইউনিয়নের রামনেওয়াজ, কাউয়ারটেক, আন্দ্রিরপাড় বেড়ীবাঁধ, উত্তরসাকুচিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম বেড়ীবাঁধ, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। এই সমস্ত বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এছাড়াও দাসেরহাট এলাকায় দুইটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এতে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে দুইটি ইউনিয়ন। এছাড়াও দাসেরহাট এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার এলজিইডির পাকা সড়ক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
দূর্গত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরী বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে ক্ষতিগ্রস্থের সহযোগিতা করা হবে।