মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি | শিরোনাম | সর্বশেষ » বজ্রপাত এখন দুর্যোগ : ২৬ জেলায় ৮১ জনের প্রাণহানি
বজ্রপাত এখন দুর্যোগ : ২৬ জেলায় ৮১ জনের প্রাণহানি
লালমোহন বিডিনিউজ ,সোহেল ঢাকা :বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বজ্রাঘাতে ২৬ জেলায় ৮১ জনের প্রাণহানির প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এই ঘোষণা এলো। তবে গত বছর ১৭ জনের প্রাণহানির পর ওই বছরের ২৭ আগস্ট বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বজ্রাঘাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, সরকার নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া আহত ব্যক্তিদের ৭ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই সম্প্রতি বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে।
বজ্রপাতের সময় সতর্কতামূলক বিষয়গুলো মেনে চলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী।
এসব সতর্কতা ও পরামর্শে বলা হয়, আকাশে ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে বজ্রপাতের আশংকা তৈরী হয়। এজন্য বজ্রপাতের সময় ঘরে অবস্থান করাই নিরাপদ। প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাওয়া যেতে পারে। খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে বজ্রাঘাতের ঝুঁকি বেশী।
তবে প্রয়োজনে ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙ্গুল দিয়ে, মাথা নিচু করে বসতে পড়তে হবে।
এতে বলা হয়, দালান বা কংক্রিটের ছাউনি বেশী নিরাপদ। টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতর অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ ঘটানো যাবে না। সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোন কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
এছাড়া জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় অবস্থান না করা। বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা, ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার না করা, খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত থাকা, ছাউনী বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়া, নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনীর নিচে অবস্থান করা, বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ি রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করা এবং প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।