মঙ্গলবার, ৫ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার নেয়ামতপুর চরবাসীকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন
ভোলার নেয়ামতপুর চরবাসীকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন
নুরে আলম ভোলা :চর নেয়ামতপুর। ভোলার জেলার দৌলতখান উপজেলার বিচ্ছিন্ন এক দুর্গোম জনপদ। ১৯৭১ সনে রাক্ষুসে মেঘনার ভাঙ্গনে চর নেয়ামতপুর বিশাল একটি ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যায়। কয়েক হাজার পরিবার ভূমিহীন হয়ে যায়। তার পর নদীর ভাঙ্গা গড়ার খেলায় কয়েক বার এই চরটি জেগে উঠে। সব শেষ ১৯৯৭ সনে জেগে উঠার পর ভূমিহীন ওইসব পরিবার আবার নতুন করে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এই চরবাসীদের উৎখাতের জন্য একটি মহল মাথাচারা দিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এই চর নিয়ে হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত রয়েছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখানের নেয়ামতপুর ১০হাজার পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে চরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে নেয়ামতপুর কৃষক সমিতির ব্যানারে শত শত নারী-পুরুষ এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মানববন্ধন চলা কালে বক্তব্য রাখেন, নেয়ামতপুর কৃষি সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ফেরদৌস আহমেদ,মহিউদ্দিন আহমেদ,মোঃ ইউনুস,ইউসুব জিলাদার প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, তাদের ৫০/৬০ বছরে বাপদাদার ভিটা মাটি নেয়ামতপুর ইউনিয়ন রাক্ষুসে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে কয়েক দফা ভেঙ্গে যায় এবং আবার কয়েক বার জেগে উঠে। সর্ব শেষ গত ১৯৯৭ সনে এই চর জেগে উঠার পর ভিটামাটি হারা ছিন্ন মূল পরিবার গুলো আবার ঘর বাড়ি নির্মান করে জমি চাষ করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তাদের এই জমি একটি মহল দখলের উদ্দেশ্যে ২ দিন আগে কিছু ভূমি দস্যুদের ইন্দোনে দৌলতখান ইউএনওর নেতৃত্বে এক দের শত লোক এসে নেয়ামতপুর চরের বসবাসকৃত বাসিন্দাদের চর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। যদি সেচ্ছায় না গেলে তাদেরকে জোর পূর্বক ঘব বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি দেয়। অথচ এই চরের বর্তমানে যারা দখলে মালিকাদাবী করে রয়েছে তাদের বসবাসে কোন বিঘœ না হয় তার জন্য গত ১৪/৫/২০০৬ তারিখে হাইকেটের মহামান্য বিচারপতি সৈয়দ মোঃ দস্তগির হোসাইন ও মামুনুর রহমানের সমন্বয় বেঞ্জে একটি রিটপিটিশনে আদেশ দেয়। রিট পিটিশন নং হচ্ছে ৪০৭৭/২০০৬। এ অবস্থায় অসহায় চর বাসী তাই উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা ও পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার দাবী জানিয়েছন। এর আগে তারা একই দাবী জানিয়ে ভোলা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। তবে এ ব্যাপারে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এই জমিটি খাস করা হয়েছে। তাই নতুন করে আদালতের রায়ে বন্দবস্ত দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।