বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরার মেঘনায় অবাদে চলছে অসংখ্য প্রজাতির কোটি কোটি পোনা নিধন, প্রশাসন নির্বিকার
মনপুরার মেঘনায় অবাদে চলছে অসংখ্য প্রজাতির কোটি কোটি পোনা নিধন, প্রশাসন নির্বিকার
লালমোহন বিডিনিউজ ,সীমান্ত হেলাল, মনপুরা : মনপুরার মেঘনায় প্রতিনিয়ত গলদা চিংড়ী রেণু সংগ্রহের নামে অবাধে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি মাছের পোনা। শুধুমাত্র গলদা চিংড়ীর রেনু ছাড়া সকল মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ফেলে দেওয়া হচ্ছে শুকনো ডাঙ্গায়। এতে অন্যান্য প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণীর ক্ষতির প্রভাব প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ ও মাঝারি বয়সের ছেলে-মেয়েরা মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে মেঘনায় অবাধে গলদা রেণু ধরছে। এই অবৈধ রেণু আহরন করতে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। গত দুইদিন মনপুরার মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সামনে এই অবৈধ রেনু আহরন করলেও তারা এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেননা বলে অভিযোগ রয়েছে।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি গলদা চিংড়ী রেণু আহরন করার সময় ৯ শ থেকে ১২ শ প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষনার প্রধান ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, চিংড়ী পোনা আহরনের নামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ইলিশ শূন্য হয়ে পড়বে মেঘনা।
মনপুরার মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমী জেলেরা মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে বাগদা ও গলদা রেণু আহরন করছে। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ ও মাঝারি বয়সের ছেলেমেয়েরা দলবেঁধে রেণু সংগ্রহ করছে। প্রতিটি দলে ২০-২৫ জন রয়েছে। আবার স্থান বেঁধে এদের সংখ্যা শতাধিকের উপরে। এদের অনেকের কোমড় ও হাতে রয়েছে বালতি ও হাড়ি। মেঘনায় কয়েকবার জাল টানার পর ডাঙ্গায় উঠে আসে। পরে জালের কোণায় জমানো বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা, জলজপ্রাণী ও চিংড়ীর পোনা বড় থালা বা বাসনে রাখা হয়। পরে বেঁেচ বেঁেচ আলদা করা হয় গলদা রেনু। গলদা রেনু আলাদা করা শেষ হলে অবশিষ্ট মাছের পোনা, জলজপ্রাণীসহ বিভিন্ন প্রজাতীর পোনা শুকনো মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এভাবে মেঘনায় প্রতিনিয়ত গলদা চিংড়ী পোনা আহরনের নামে অবাধে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাসহ জলজপ্রাণী।
এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা বলেন, মেঘনায় অভিযানের পাশাপাশি গণসচেতনতার কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে অভিযান সামান্য ব্যাহত হলেও শেষ পর্যন্ত অভিযান চলবে।