শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় জাতীয়করনকৃত ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ সাংবাদিক সম্মেলন
ভোলায় জাতীয়করনকৃত ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ সাংবাদিক সম্মেলন
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় ৩য় ধাপে জাতীয়করণকৃত পশ্চিম চর লিলন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকদের বাদ দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রতিকার চেয়েও ভূক্তভোগী শিক্ষকরা কোন প্রতিকার না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অনিয়ম আর দুর্নীতির কাহিনী তুলে ধরেন।
চরফ্যাসনের মুজিবনগর ইউনিয়নের পশ্চিম চর লিলন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমেনা বেগম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তিনি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৮/৮/১০ তারিখে নিয়োগ পেয়ে ২৫/৮/১০ তারিখে যোগদেন। কিন্তু ভূয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে স্কুল কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তিকে ৯.১.১২ তারিখে ওই স্কুলে নিয়োগ দেখিয়ে ১০.১.১২ তারিখে যোগদান দেখানো হয়। রেজুলেশনে ওই শিক্ষকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দৈনিক সোনালী বার্তা পত্রিকার ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত পক্ষে ওই তারিখের পত্রিকায় এই স্কুলের কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে চরফ্যাসন শিক্ষা অফিসের দালাল আব্বাস উদ্দিন গত ১৮ নবেম্বর ২০১৩ তারিখে চরফ্যাসন উপজেলার সরকারি করনের জন্য শিক্ষকদের যাচাই বাছাই কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় পশ্চিম চর নিউলন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেদের নামের তালিকায় আমেনা বেগমের পরিবর্তে রফিকুল ইসলাম দেওয়া হয়। একই অবস্থা উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়েও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম ও রাশেদা বেগম প্রথম নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে কর্মস্থলে নিয়মিত ক্লাশ করলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে রোকসানা বেগম এবং সহকারী শিক্ষক পদে যথাক্রমে রহিমা আহমেদ রুনা ও কানিস ফাতেমার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অতছ এরা কোন দিন ওই স্কুলেও যায় নি। এ ব্যাপারে তারা শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। ভূক্তভোগী শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।