শনিবার, ১৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে ২ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিজয় অনেকটা সুনিশ্চত হলেও ঝূকীঁপূর্ন রয়েছে বাকী ২ ইউনিয়ন
লালমোহনে ২ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিজয় অনেকটা সুনিশ্চত হলেও ঝূকীঁপূর্ন রয়েছে বাকী ২ ইউনিয়ন
লালমোহন বিডিনিউজ :লালমোহনে ২ ইউনিয়নে আ’লীগ প্রার্থীর বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত হলেও বিজয় নিয়ে ঝূকীঁপূর্নতায় রয়েছে বাকী ২ ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীরা। সরজমিনে নির্বাচনী এলাকা গুলোতে ভোটার সাধারনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমাগঞ্জ ও ধলীগৈরনগর ইউনিয়নে আ’লীগ বিদ্রাহী প্রার্থীরা একত্তা ঘোষনার পর দুটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত। রমাগঞ্জ ইউনিয়নে বিদ্রাহী প্রার্থী সাংবাদিক আনোয়ার রাব্বি শুক্রবার দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফা মাষ্টারের সাথে একতত্তা ঘোষনার পর বিজয়ও অনেকটা সুনিশ্চিত বলে ভোটার সাধারনদের ভাষ্য মতে নির্ধারন করা যাচ্ছে । ধলীগৈরনগর ইউনিয়নের বিদ্রাহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মুজ্জামেল ডিলারকে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী মিন্টু তার নানান কৌশল অবলম্বনে ও দলীয় হাইকমান্ডে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারন বলে তার সাথে একতত্তা ঘোষন করায় বিজয় অনেকটা তারও নিশ্চিত বলা যায়। ইতিহাসের একটি চিরন্তন বানী “ঘরের শত্রু বিভিষণ” আর এই চিরন্ত বানীটি যেন লালমোহনের এই দুটি ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি নির্বাচনের উত্তপ্ত রাজনীতি দিয়ে বাস্তব রুপ নেয়। নিজ দলের নিজ আ’লীগ ঘরোনার লোক হলেও বিদ্রাহী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় ও রাজনৈতিক কৌশলে মাঠে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বদরপুর ও লালমোহন সদর ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী। বিজয় নিয়েও শংসয় রয়েছে লালমোহন সদর ইউনিয়ন ও বদরপুর ইউনিয়নে। এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে ও অনুসন্ধান বলছে , লালমোহন সদর ইউনিয়নের দলীয় মনোনীত প্রার্থী শাজাহান নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় নামার পর থেকেই নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুলের অনুসারীদের ও সাংবাদিকদের উপর হামলা করে উপজেলা ব্যাপী আলোচনা সমালোচনার অক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়। নিজের পাকা ধানে নিজেই মই দেয়। হামলার পর তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪০% থেকে ২০% নেমে আসে। জনসমর্থনে দোটানায় পরে যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাজাহান। কিন্তু কামরুল ও ঘরে হাত পা ঘুটিয়ে বসে না থেকে নানান ভাবে শাহাজানকে পরাস্থকরার মিশনে নামে। খুঁজে পাওয়া যায়নি কামরুল শাহাজাহানের যুদ্ধের শেষ ফলাফল। কিন্তু উপজেলা ব্যপী ও মিডিয়া পারায় কান পাতলেই এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুনা যায় কামরুল তার নির্বাচন থেকে অব্যাহতী নেওয়ার গুঞ্জন শুনা যায়।
অপরদিকে বিজয় নিয়ে রেটএল্যার্টে রয়েছে বদরপুর। সালাউদ্দিন -ফরিদের- জাফর যুদ্ধ চলছে এই ইউনিয়নে। তিন রাজনৈতিক খেরুর খেলার দেশদৃশ্যপট কি হয় তা দেখা যাবে ২২ তারিখে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল ঘোষনার পর। তবে এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে ও সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , ঐতিহাসিক ঘনোযোয়ারে ভাসছে বিদ্রোহী প্রার্থী সালাউদ্দিন কন্টাকটার। নির্বাচনী এলাকা ঘুরে ও ভোটার সাধারনদের সাথে আলপকালে জানা যায়, দলীয় মনোনিত প্রার্থী ফরিদ তালুকদার হলেও তার প্রাপ্ত ভোট ১০% আর সাউদ্দিন কনট্রাকটারের প্রাপ্ত ভোট ৬০%। অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহাম্মেদ জয়’র প্রাপ্ত ভোট প্রায় ৩০% ভোট। একটি বিশেষ সূত্রের ভাষ্য মতে, গত ইউপি নির্বাচনে ইউপি মেম্বার পদে এলাকার স্থানীয় এক মাছ বিক্রেতার সাথে নির্বাচন করে হেরে যায় দলীয় মনেনিত চেয়ারম্যান ফরিদ তালুকদার। ঘটনা চক্রে আবারো প্রশ্নের উথÍান হয় যে তিন খেরুর চূরান্ত দৃশ্যপট ২২ তারিখের নির্বাচনে কি আ’লীগের ঘরোনার লোকদিয়ে শেষ হয় নাকি সতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিনকে দিয়ে শেষ হয়।