বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলির নির্দেশ-সিইসি
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলির নির্দেশ-সিইসি
লালমোহন বিডিনিউজ,সাইফ বাবলু ঢাকা : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ইউপি নির্বাচনে কেউ আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন গুলি করে। আইনভঙ্গকারী যেই হোক তাকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মিলনায়তনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়ে শেষ হয় ২ টায়।
সিইসি বলেন, আমরা সকলকে সমানভাবে সুযোগ সুবিধা দেব। আমাদের কাছে সব দল সমান। যে কোন বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিব।
আইন-শৃঙ্খলা পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে ৬৩৪টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ৭ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৭ জন করে পুলিশ ও আনসারের ১৯ জন করে ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ফোর্স রাখার পরিকল্পনা রয়েছে ১৯ জন করে। অর্থাৎ নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রেই ফোর্স থাকছে ১ লাখ ২০ হাজারের মতো।
তবে এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কার্যপত্রে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং সীমিত পরিসরে সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছিলো।
এবার পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে ১টি করে ৬৩৯টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিন ইউপির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রতি উপজেলায় ২টি করে র্যাবের মোবাইল টিম ও ১টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি উপজেলায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোবাইল ও ১ প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
আবার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতি উপজেলার জন্য কোস্টগার্ডের ২ প্লাটুন মোবাইল ফোর্স ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। যারা ভোটের দু’দিন আগে ও পরের একদিনসহ মোট চারদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এ হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে সবগুলো ইউপির নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।