মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ফসল রক্ষা করতে গিয়ে মামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ ভোলায় ২ শতাধিক মহিষ লুটের ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে মদনপুর চর উন্নয়ন কমিটির সাংবাদিক সম্মেলন
ফসল রক্ষা করতে গিয়ে মামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ ভোলায় ২ শতাধিক মহিষ লুটের ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে মদনপুর চর উন্নয়ন কমিটির সাংবাদিক সম্মেলন
লালমোহন বিডিনিউজ : ভোলা প্রতিনিধির্ ॥ ভোলার দৌলতখান উপজেলার মধ্য মেঘনার নেয়ামতপুর চর থেকে ২ শতাধিক মহিষ লুটের ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে মদনপুর চর উন্নয়ন কমিটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। তবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা নেয়ামতপুর চর থেকে গত ২৬ ফেব্রয়ারি মহিষ গুলো পিটিয়ে অন্যত্র তারিয়ে দেয় বলে স্বীকার করেন। তারা মহিষের কবল থেকে খেতের ফসল রক্ষা করতে গিয়ে ভোলার দৌলতখান উপজেলার দুর্গম মদনপুর ইউনিয়নের ২৫ কৃষক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবী করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে মদনপুর চর উন্নয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ ইউনুছ বলেন, গত ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারী ভোলার তৎকালিন জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা মদনপুর ও ও মেদুয়া নেয়ামতপুরের সীমানা নির্ধারণ করে দেন। লক্ষ্মীপুর ও ভোলার প্রভাবশালী মোঃ ফেরদৌস ও ইউসুফ জিলাদার গং মদনপুর সীমানায় মাটির কিল্লা তুলে বাথান করে ৮০০ থেকে ৯০০ মহিষ পালন করছেন। ওই মহিষ মদনপুরের কৃষি জমিতে ঢুকে কয়েকশ একর জমির ধান, সয়াবিন, খেসারীসহ ফসল নষ্ট করে আসছে। বিষয়টি ফেরদৌস ও ইউসুফ জিলাদারকে জানালেও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এই জন্যে বিক্ষুব্ধ কৃষক ২৬ ফেব্রুয়ারী ভোর রাতে পিটিয়ে মহিষগুলো পাশের মধুপুর চরে তাড়িয়ে দেয়। সেই মহিষ পরবর্তীতে নেয়ামতপুরবাসি খুঁজে নিয়ে গেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, এ ঘটনায় নেয়ামতপুরের আনোয়ারুল ইসলাম বাদি হয়ে মদনপুরের জাফর পন্ডিত, মিল্টন মিয়াসহ ২৫ কৃষককে আসামী করে লুট, অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তারা প্রতিবাদ জানান। এ ব্যাপারে নেয়ামতপুর চরের মোঃ ফেরদাউস ও ইউসুফ জিলাদার বলেন, মহিষে ফসল খাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জাফর পন্ডিত ও মিল্টন মিয়া গঙ নেয়ামতপুরে মহিষ পালনের জন্যে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে। ওই টাকা না দেওয়ায় ২৬ ফেব্রুয়ারী ২ শতাধিক মহিষ লুট করে দুই জন রাখালকে অপহরণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা মেঘনা নদীর মাঝে কিছু মহিষ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ১৬৪টি মহিষ ও রাখাল জসিম উদ্দিনকে মেঘনার বিভিন্ন স্থান থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও এখনও ৩৮টি মহিষ ও রাখাল জমির আলীকে পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে দৌলতখান থানায় মামলা না নেওয়ায় তারা দৌলতকান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং এমপি ৯/১৬। তারিখ ২৯.২.১৬।