শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জনকে কুপিয়ে জখম ৪টি ঘর ভাংচুর
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জনকে কুপিয়ে জখম ৪টি ঘর ভাংচুর
লালমোহনবিডিনিউজ :লালমোহনে দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জনকে কুপিয়ে জখম ও ৪টি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে। শুক্রবার জুমার পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কালমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরছকিনা গ্রামে পৌর আওয়ামীলীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক সিরাজ হায়দারের গ্রুপ ও মুড়ি ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পরিবারের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সিরাজ হায়দার জানান, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে তার ভাতিজা সজিবকে শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ছেলেরা
মারধর করে তাদের ঘরের চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখে। ঘটনা জানতে জুমার নামাজের পর সিরাজ হায়দারের ভাই রতন, বিল্লাল, কামাল ওই বাড়িতে গেলে তাদের অতর্কিত কুপিয়ে জখম করা হয়। এ খবর পেয়ে সিরাজ হায়দার, স্ত্রী অনু, ভাতিজা হাসান, আল-আমিন, ভাইয়ের স্ত্রী পারভীনসহ ওই বাড়িতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।
অপরদিকে শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পুত্রবধু রুমা জানান, তিনি দুপুরে পুকুরে গোসল করতে গেলে পুকুর পাড়ে সিরাজ হায়দারের ভাতিজাসহ কয়েকজনে অশ্লীল মন্তব্য করে। এ ঘটনা তার স্বামী মিজানকে জানালে মিজান সিরাজ হায়দারের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে সেখানে কথার কাটাকাটি হয়। পরে সিরাজ হায়দারের লোকজন মিজানের বাবা শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে এসে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, স্ত্রী জোসনা, জামাতা মতিন, ছেলে সোহেল, মিজান ও জিহাদসহ দুই গ্রুপের অন্তত ১২/১৩ জন মারাত্মক জখম হয়। জখম সিরাজ হায়দারের গ্রুপদের লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের গ্রুপের কাউকে লালমোহন হাসপাতালে না নিতে দেওয়ায় তাদের ভোলা হাসপাতালে পাঠানো হয় সন্ধ্যার পূর্বে পূণরায় শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শাহাবুদ্দিনের ঘর, ভাতিজা কবিরের ঘর ও হনুফার ঘর, তাজল ইসলামের ঘর সহ ৪টি ঘরে এলোপাথারি ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ আকতারুজ্জামান পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেন।