লালমোহনে রমরমা কোচিং বানিজ্য
লালমোহন বিডিনিউজ : ভোলার লালমোহনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে কোচিং বানিজ্য । ভোলা - ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন -কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা তোয়াক্কা না করে কোচিং বানিজ্য চলছে তো চলছেই!
তথ্য ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোমলমতি অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের কোচিং এ পড়ার জন্য বাধ্য করে কিছু শিক্ষক।
এরা কোচিং বানিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে। ছাত্র/ছাত্রীরা কোচিং এ ভর্তি না হলে পরিক্ষায় ফেল করানো হবে এমন ভয় বিথী দেখায় কিছু অসাধু শিক্ষক। বিশেষ করে কর্তারহাট বাজার বাংলালিংক টায়ার সংলগ্ন শিক্ষক পলাশ এর নির্মানাধীন ঘরে চলছে কর্তারহাট কোচিং সেন্টার।
এখানে যেসব শিক্ষক রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক বর্তমানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবে বাস্তবায়ন না করে কোচিং বানিজ্যে মেতে উঠেছে। এতে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা হ্রাস পাচ্ছে , তেমনি মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীরাও প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকদের ও আর্থিক হয়রানির শিকার হতে হয়।
কর্তারহাট কোচিং সেন্টারের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র তানভির ও রিয়া জানায়, তাদেরকে প্রতি মাসে ছয় শত টাকা করে কোচিং ফি দিতে হয়।
কর্তারহাট কোচিং সেন্টারের পরিচালক আমিরুনেচ্ছার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে লালমোহন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, কোচিং সেন্টারের ব্যাপারে আমরা খুব শিঘ্রই প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করেবো। মাননীয় এমপি মহাদয়ের সহযোগিতায় নিয়ম এবং নীতি অনুযায়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্ররিচালিত হবে।
কোচিং বানিজ্য বন্ধ করে গরীব মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পড়া লেখার সু-ব্যবস্থা করে দেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।