রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে শিক্ষা অফিসারের গাফিলতি প্রাথমিকের ৯শ শিক্ষকের জানূয়ারীর বেতন নতুন স্কেলে না পাওয়ার আশংকা
লালমোহনে শিক্ষা অফিসারের গাফিলতি প্রাথমিকের ৯শ শিক্ষকের জানূয়ারীর বেতন নতুন স্কেলে না পাওয়ার আশংকা
লালমোহন বিডিনিউজ,মিজানুর রহমান লিপু লালমোহন : সরকারের কঠোর সিদ্বান্তকে উপেক্ষা করে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উৎকোচ না পাওয়ায় নতুন স্কেলে শিক্ষকদের বেতন দিতে গড়িমশির অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজনিয়ে জানাযায়, সরকার সরকারী চাকরীজীবীদের ডিসেম্ভর/২০১৫ বেতন নতুন পে-স্কেলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও শিক্ষকরা প্রতিবারের মত চাঁদা উত্তোলন করে মাশোয়ারা না দেওয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের ফিক্সেসন করা সার্ভিস বুকে স্বাক্ষর না করে কাল ক্ষেপন করছেন। এতে উপজেলার ২১৮ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৯৮ জন শিক্ষকদের জানুয়ারী মাসের বেতন নতুন স্কেলে পাওয়া নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে। গোপন সুত্রে আরো জানাযায়, প্রায় ৪/৫ দিন পর্যন্ত শিক্ষকদের প্রায় ১শ সার্ভিস বই শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় থাকলেও সে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে স্বাক্ষর না করে শিক্ষা অফিসার মাশোয়ারার জন্য অপেক্ষা করছেন। লালমোহনে অনেক শিক্ষক আছেন যারা এরকম হুজুক পেলে শিক্ষদের কাছ থেকে জনপ্রতি চাঁদা উত্তোলন করে শিক্ষা অফিসার সহ নিজেদের পকেট ভাড়ি করেন। লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫/২০ জন শিক্ষক আছেন যারা শিক্ষক নেতা বনে গিয়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস করার পরিবর্তে শিক্ষা অফিসারের চাটুকারিতা সহ ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন । ভোলা-৩ লালমোহন ও তজুমদ্দিনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন শিক্ষকদের বার বার নেতাগিড়ি বন্ধ করে বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস করার নির্দেশ দিলেও তারা তাতে কোন কর্নপাত না করে বিদ্যালয় চলাকালীন সময় বাজারে অথবা অফিসে সময় ব্যায় করেন। এমপির নির্দেশ বাস্তবায়ন করার জন্য শিক্ষা অফিসের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এমন কি এসময় অনেক শিক্ষককে অফিসারদের সাথে বসে চা খেতেও দেখা যায়। এব্যাপারের লালমোহন উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হোসেন কে নতুন স্কেলে শিক্ষকরা জানুয়ারীর বেতন পাবে কিনা এবং কেন সার্ভিস বইয়ে স্বাক্ষর করেন না ? এমন প্রশ্ন করলে সে জানূয়ারীতে নতুন স্কেলে শিক্ষকদের বেতন পাওয়া নিয়ে আশংকা করেন এবং বইয়ে স্বাক্ষর না করার ব্যাপারে তার ব্যাস্ততার অজুহাত দেখান । এদিকে ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ছাইয়্যাদুজ্জমানের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ব্যাবস্থা নিবেন বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন তার উৎকোচ উত্তোলন কারী দালাল শিক্ষকদের দিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।