বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুযায়ী পার্লামেন্ট অবৈধ: হাফিজ
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুযায়ী পার্লামেন্ট অবৈধ: হাফিজ
লালমোহন বিডিনিউজ ,রাশেল সিকদার ঢাকা : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুযায়ী বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ ও পার্লামেন্ট সম্পূর্ণ অবৈধ। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শাসন আমলের বিভিন্ন দিকের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে কলঙ্কিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মেজর হাফিজ বলেন আপনি আপনার (শেখ হাসিনা) শাসন আমলে অনেক অনিয়ম করেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর সরাতে গিয়ে নিজেকে আরও কলঙ্কিত করবেন না। তিনি বলেন, ‘কোন মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকতে পারে না, আপনিও পারবেন না। সেকারণে মৃত্যুর পর আপনাকে কলঙ্কিনি বলতে পারে এমন কোন কাজ করবেন না।’ জিয়াউর রহমানের কবরে হাত না দিতে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশ এখন মূর্খ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ইয়াবাসহ মাদকের ছোবলে শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রিদের কেউ কেউ মাদক ও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
দেশে শান্তি ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক বাণীতে বলেছেন, কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। বাংলাদেশের ২১ তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ বাণী প্রকাশিত হয়। ওই বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ গ্রহণ করেন। কোনো বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তাঁর গৃহীত শপথও বহাল থাকে না। আদালতের নথি সরকারি দলিল (পাবলিক ডকুমেন্ট)। একজন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আদালতের নথি নিজের নিকট সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে দস্তখত করার অধিকার হারান। বিচারকগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন বে আইনি কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলেও আশা করেন প্রধান বিচারপতি।