বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » বোরহানউদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এক চিঠিতে ২০ ভুল
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এক চিঠিতে ২০ ভুল
লালমোহন বিডিনিউজ ,বোরহানউদ্দিন সংবাদদাতা :ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার বিশ্বাসের সই করা একটি চিঠিতে ২০টিরও বেশি বানান ভুল পাওয়া গেছে। চিঠিটি গত সোমবার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর পাঠানো হয়।
শিক্ষার উন্নয়নে পাঠানো ওই চিঠির অনেক বানানে ভুল ধরা পড়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চিঠিটি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এসব ভুলকে ‘সামান্য বিষয়’ উল্লেখ করে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এটি একটি আধা-সরকারি চিঠি। এ রকম চিঠিতে বানান সঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
চিঠিতে থাকা বানান ভুলের মধ্যে আছে—‘গনপ্রজাতন্ত্রী’, ‘সম্মানানীয়’, ‘শিক্ষকমন্ডলী’, ‘প্রনয়ন’, ‘বিতরন’, ‘চালুকরন’, ‘নিন্ম মাধ্যমিক’, ‘দায়বধতা’,‘উপদেশনা’, ‘প্রশিক্ষন’, ‘প্রনয়ন’, ‘অংশগ্রহনমূক’, ‘প্রঞ্জাপন’, ‘মানষিক’, ‘জবাবদিহীতা’ এবং দাঁড়ির (যতি চিহ্ন) পরে ‘এবং’ উল্লেখসহ ২০টির বেশি ভুল।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিনের কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক মাহমুদ হাসান বলেন, কর্মকর্তার চিঠিসহ যেকোনও লেখার সময়েই যত্নবান হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, এসব কর্মকর্তারা মূলত উপবৃত্তি বিতরণ করার জন্য (থানা প্রকল্প কর্মকর্তা) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রায় দুই দশক আগে। সরকারগুলোর অপশাসন আর শিক্ষা, অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে এরা হঠাৎ করেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বনে গেছেন। কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার ও বেতন দেওয়ার আগে একট যোগ্যতা নির্ধারনী পরীক্ষা নেওয়ার দরকার ছিল। অথবা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পারতেন।
২০১০ খ্রিস্টাব্দে তপন বিশ্বাসের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়। তার শিক্ষাজীবনে রয়েছে একাধিক তৃতীয় বিভাগ।