বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় সহিংসতা ছাড়াই তিন পৌরসভায় ভোট গ্রহণ বিএনপির ভোট স্থগিতের দাবি
ভোলায় সহিংসতা ছাড়াই তিন পৌরসভায় ভোট গ্রহণ বিএনপির ভোট স্থগিতের দাবি
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা সংবাদদাতা : ভোলায় সহিংসতা ছাড়াই ভোলার তিন পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একটি কেন্দ্রে জাল ভোটের অভিযোগে দুই জনকে আটক করার পরে এক জনের দুই মাসের জেল প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তবে বিএনপি প্রার্থীরা ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে দুপুরে ভোট স্থগিত করার দাবি করেন। তাঁরা রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া ভোলা সদর পৌরসভার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান মোমতাজি ব্যাপক কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন।
সরেজমিন ভোলার সদর পৌরসভার আলীয়া মাদ্রাসা, মধ্য চরনোয়াবাদ সরকারি বিদ্যালয়, টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, জামেয়া ইসলামীয়া মোহাম্মাদীয়া মাদ্রাসাসহ ৮টি কেন্দ্র, বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় আইডিয়াল স্কুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, আব্দুলজব্বার মহাবিদ্যালয়, পৌরসভা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৬টি, দৌলতখানের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়। এসব কেন্দ্রে অনেক ভোটারকে জাল ভোট দিতে দেখা যায়। এসব পৌরসভায় বহিরাগত ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যাঁরা অধিকাংশ বাইরের উপজেলা ও ইউনিয়নের ।
ভোলা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিন (উটপাখি) বলেন, তিনি ভোট দিতে গিয়ে দেখেন তাঁর ভোট অন্য কেউ দিয়ে গেছে। তাঁর পক্ষের এজেন্ট বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষের ক্যাডাররা সিল টাকিয়েছেন। তবে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী আতিকুর রহমান সিল টাকানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
ভোলা পৌরসভার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান মোমতাজী দুপুর দেড়টার সময় রিটানিং কর্মকর্তা সুব্রত কুমার শিকদারের নিকট লিখিতভাবে ভোট বর্জন করেছেন। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর লোকজন ব্যপক সিল টাকিয়েছে। তাই তিনি রিটানিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়ে ভোট বর্জন করেছেন।
বোরহাউদ্দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরসভা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হুমায়ুন কবীর নামে এক বহিরাগত ভোটার জাল ভোট দিতে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশার দুই মাসের জেল প্রদান করেন। একই কেন্দ্রে রাজুবিবি (৪৫) নামে এক মহিলাকে জাল ভোট প্রদানের আটক করে পুলিশ। ছমিরুননেছা নামে আরেক জাল ভোটারকে পিটিয়ে বের করে দেওয়া হয়।
ভোলা সদর পৌরসভায় বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খাঁন, দৌলতখান পৌরসভায় বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন কাঁকন চৌধুরী ও বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণসম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান কবির সংবাদ সম্মেলন করে ও রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ভোট স্থগিতের দাবি করেছেন। তারা অভিযোগে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা তাঁদের প্রায় কেন্দ্রের এজেন্ট সকাল সাড়ে ৮টায় বের করে দেন। পরে ভোটাররা ভোট দিতে গেলে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে তাঁদের পক্ষে ভোট দেন। ব্যাপক জাল ভোটদেওয়ার কারনে তারা ভোট স্থগিতের দাবি করেছেন।
আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বিএনপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরাবরের মতো অভিযোগ দেওয়া তাঁদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। সুন্দর ও সূষ্ঠু ভোট হয়েছে। আনন্দঘন পরিবেশে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।