শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » দৌলতখান | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার দৌলতখানে সারমিন আক্তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে এলাকার এলাকায় ঘুরেও সারা পায়নি
ভোলার দৌলতখানে সারমিন আক্তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে এলাকার এলাকায় ঘুরেও সারা পায়নি
লালমোহন বিডিনিউজ ,দৌলতখান সংবাদদাতা :ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সারমিন আক্তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে গন্যমান্য বিভিন্ন মহলের কাছে ঘুরছেন। উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ফরিদউদ্দিনের মেয়ে সারমিন আক্তার জানায়, ২বছর পূর্বে তার বাড়ির পার্শবর্তী ঘরের চাচাতো ভাই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র জাফর (২০) তাকে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সারমিন অন্তসত্বা হয়ে পরলে বিষয়টি তাদের পারিবারিক ভাবে জানা জানি হয়ে যায়। পরবর্তীতে ছেলের বাবা আবুদর রশিদ সুকৌশলে মেয়ের বাবা ফরিদ উদ্দিনকে , তার মেয়ের গর্ভপাতের ঘটনার বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ৩০হাজার টাকা দেয়। ফরিদউদ্দিন ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসায় গিয়ে সেখানকার এক ডাক্তারের সাথে গর্ভপাত করার জন্য পরামর্শ করলে , ডাক্তার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানান তার সন্তানের বয়স ৫ মাস। এ সময় গর্ভপাত ঘটালে মা ও শিশু উভয়ই মারা যাবে। এ জন্য মেয়ের বাবা ফরিদউদ্দিন তার মেয়েকে নিয়ে দেশের বাড়িতে চলে আসেন। পরবর্তীতে ৩১ অক্টোবর সারমিন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এবং তার নাম রাখেন আবুদর রহমান জিহান। এ নিয়ে ফরিদউদ্দিন ও তার মেয়ে এলাকার জনগনের চাপের মধ্যে পরেন। মেয়ের বাবা সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে এলাকার বিভিন্ন মহলের কাছে ঘুরে ঘুরে বেরাচ্ছেন। অর্থনৈতিক ভাবে ফরিদউদ্দিন অসশ্চল হওয়ায় এর উপযুক্ত বিচার পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ (মুকু) জানায়, এ ব্যাপরে মেয়ের বাবা তার গাছে গেলে , তিনি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক মেয়ের বাবা সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পর থেকে ছেলে জাফর এলাকা থেকে গা ডাকা দিয়েছে। তবে ছেলের বাবা আবদুর রশিদ জানান , সে বিশেষ কাজে ঢাকা গেছেন, এটা আমার পরিবারের উপর একটা মিথ্যা অপবাদ , আমার ছেলে এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।