পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ কৃষকলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে || লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে সড়কে পড়ে থাকা গাছ সরানোকে কেন্দ্র করে মোঃ আলমগীর (৪৪) নামে এক পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রী রাবেয়া (৩৫) কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোখলেস বকশির বিরুদ্ধে। এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলমগীরের ভিডিও বক্তব্য নেয়ার সময় লালমোহন থানার এএসআই দীপক এর মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে মোখলেস বকশির বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লালমোহন পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড আলমগীর পুলিশের বাড়ির দরজায় এ ঘটনা ঘটে। আলমগীর চরভূতা ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে ও পুলিশের কনস্টেবল পদে ঢাকার বংশাল থানায় কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে হামলায় আহত স্ত্রীসহ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন আলমগীর।
জানা যায়, লালমোহন পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডে নতুন সড়ক নির্মাণকালে আলমগীরের দুটি গাছ সড়ককাজে ব্যাগাত ঘটায়। পরে ওই গাচ দুটি কেটে সড়ক নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করেন তিনি। তবে আলমগীরের আরও একটি গাছ সড়ক নির্মাণ কাজে সমস্যা তৈরি করছে বলে অভিযোগ তোলেন মোখলেস বকশি।
আলমগীর জানান, এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের লোকজনসহ আলমগীরের উপর হামলার চেষ্টা করে মোখলেস বকশি। এসময় আলমগীর সরে গেলেও তার স্ত্রী ঘটনাস্থলে থাকায় তাকে মারধর করে হামলাকারীরা। পরে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ নেয়া হলেও পুলিশের সামনেই আলমগীরকে চড়-থাপ্পর ও লাথি মারে মোকলেস বকশি।
ঘটনাস্থলে থাকা লালমোহন থানার এএসআই দীপক বলেন, জরুরি সেবায় ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় আমার সামনেই আলমগীর কে চড়-লাথি মারে মোখলেস বকশি। তখন আমার মোবাইলে ভিডিও চালু থাকায় ওই মোবাইলটিও ছিনিয়ে নেয় সে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলমগীর ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে পুলিশ সদস্য আলমগীর ও তার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় কোনও অভিযোগ হয়ে কিনা জানতে চাইলে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, এমন একটি তথ্য পেয়েছি।