মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » নতুন করে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাট নির্মাণ কাজ শুরু
নতুন করে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাট নির্মাণ কাজ শুরু
ভোলা সংবাদদাতা : দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ইলিশা জংশন-চডারমাথায় বিআইডব্লিউটিএ এ নির্মান কাজ শুরু করে। নতুন করে ঘাট নির্মাণ করায় ওই এলাকার ভাঙন কবলিত কয়েকশ ব্যবসায়ী ও নৌপথে চলাচল করা যাত্রীদের মনে আনন্দ ফিরে এসেছে। তারা নতুন দোকান ঘর তুলছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার সকালে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি লেবেলের কাজ শুরু হয়। সেই সঙ্গে ভাঙন কবলিত ব্যবসায়ীরা নতুন দোকান তুলছেন জংশন-চডারমাথায় (বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের) সড়কের দুই পাশে।
দোকান ঘর তোলার কাজে ব্যস্ত সিরাজ হাওলাদার, মোঃ নিজাম খলিফা, গিয়াস উদ্দিনসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, গত সাড়ে আট মাস তারা ভাঙনের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তাদের ফসলি জমি, বাগানবাড়িসহ সব ভেঙে গেছে মেঘনা নদীতে। ফেরিঘাটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ফেরিঘাট চালু হলে দোকান দিয়ে তারা সংসার চালাতে পারবেন বলে আশা করছেন। এখন সড়কের পাশের জমিতে ঘর তোলার জন্য ইউসুফ, হেজু, দুলাল খুনি ও আবুল কাশেম ঘর প্রতি ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন।
জানতে চাইলে জমির মালিকরা বলেন, তাঁরাও ভাঙন কবলিত। শেষ সম্বল হিসাবে যে জমিটুকু আছে সে ঘরভিটা বিক্রি করে যদি কিছু টাকা পান, তাতে সংসারে একটু সচ্ছলতা আসবে। ফেরিঘাট হওয়ায় তারা এ সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানান।
ট্রলারে ২-৩ ঘন্টা পাড়ি দিয়ে যাওয়া যাত্রী চরফ্যাশন ওসমানগঞ্জের আব্দুল জলিল ফরাজি বলেন, তিনি চট্টগ্রামে কাজ করেন। প্রায়ই তাকে চট্টগ্রাম-ভোলা করতে হয়। ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তিনিসহ অনেকেই বিপদে পড়েন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়েছেন গত কয়েক মাস। এখন ফেরিঘাটের কাজ শুরু হওয়ায় তিনি খুব খুশি। তাঁর মতো বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ২১ জেলার মানুষ খুশি বলে জানান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরীয়ার কবীর বলেন, ঠিকাদার ২৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মঙ্গলবার ভোলার জংশন-চডারমাথা ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। ১৪-১৫দিন সময় লাগবে ঘাট নির্মাণ হতে। তবে ঘাটটি স্থায়ী নয়, ভোলা রাজাপুরের জোরখালের মাথায় স্থায়ী একটি ঘাট নির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপদকে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের অনুরোধ করা হয়েছে। সেটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা ফাইল চালাচালি হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-সংস্থার (বিআইডব্লিটিসি) ভোলা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আলম হাওলাদার বলেন, ঘাট সমাপ্ত হলে ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা জরুরী।