রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরী সার্ভিস দ্রুত পুণরায় চালু করার দাবীতে জেলা প্রশাসক রবাবর স্বারক লিপি
ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরী সার্ভিস দ্রুত পুণরায় চালু করার দাবীতে জেলা প্রশাসক রবাবর স্বারক লিপি
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা সংবাদদাতা: ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরী সার্ভিস দ্রুত পুণরায় চালু করার দাবীতে জেলা প্রশাসক রবাবর স্বারক লিপি প্রদান করেছেন। শনিবার বিকেলে চট্রগ্রাম - ভোলা পরিবহন ব্যবসায়ী নেতৃ বৃন্দ জেলা প্রশাসক (যুগ্ন সচিব) মো.সেলিম রেজা এ স্বারক লিপি গ্রহণ করেন। স্বারক লিপিতে গণপরিবহন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা শুধু ব্যবসায়ি মনবৃত্তি নিয়ে নয়, সেবার অঙ্গীকার নিয়েই কাজ করে যেতে চাই। বর্তমানে আমাদের সেবা করার এই গণপরিবহন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে ভোলা জেলায় ৩৬ থেকে ৪০টি বাস এবং ১০০ টির অধিক ট্রাক ভোলা লক্ষ্মীপুর ফেরী পাড়াপার হতো, সেখানে দৈনিক ২/৩টি বাস এবং ৪/৫টি ট্রাক চট্টগ্রাম থেকে ভোলায় যাতায়াত করছে। ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের গড়ে তোলা এই ব্যবসায়িক পেশা রীতিমত হুমকির মুখে পড়েছে। এ বছর ২৭জুন ঈদু-উল-ফিতরের প্রাক্কালে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে ইলিশা ঘাটটি ভেঙ্গে গেলে এই প্রতিবন্ধক অবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে যখন নদী ভাঙ্গা বন্ধ রয়েছে এবং সেই স্থানে পুনরায় ফেরী চলাচলের উপযোগী হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বর্তমানে অস্থায়ী ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর থেকে ভেদুরিয়া ঘাটে একটি ফেরী পৌছাতে সময় লাগে ৮/১০ ঘন্টা এত বেশি সময় নিয়ে ফেরী চলাচলে যাত্রীরা যেমন কষ্টকর ও বিরক্তি অনুভব করে তেমনি ফেরীর জ্বালানি খরচও অনেক বৃদ্ধি পায় যাহা সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি’র লোকসান হচ্ছে বলে আমরা ধারনা করছি। আমরা জানতে পেরেছি এরই মধ্যে এ জনপদের গণমানুষের নেতা মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি’র নির্দেশনা দিয়েছেন, অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ইলিশা ঘাটে পুনরায় অস্থায়ীভাবে ফেরী সার্ভিস চালু করার জন্য। অদৃশ্য কারনে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা রুটপারমিট বিহীন লঞ্চ গুলো চালাতে অতীতে ফেরী সার্ভিস চালু না করার বিরোধীরা পুনরায় চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আর সে কাজে বিআরটিএ’র কোন এক অসাধু কর্মকর্তার ঘাট তৈরির গাফিলতির কারনে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন। এই পরিস্থিতে ফেরী চলাচলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়ে গণপরিবহন চলাচলে বিঘœতা সৃষ্টি করে তাহলে আমরা আশঙ্কা করছি যাতায়াতে কষ্ট পাওয়া মানুষগুলো ঘরে বসে না থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অবর্তীণ হতে পারে।
কাজেই জোড়াখাল স্থানে স্থায়ীভাবে আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে ফেরীঘাটের কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বর্তমানে পূর্বের ন্যায় ইলিশা ঘাটে স্থায়ীভাবে ফেরী চলাচল করার সু ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।