সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে প্রবীণ আ’লীগ নেতার সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা || লালমোহন বিডিনিডউজ
লালমোহনে প্রবীণ আ’লীগ নেতার সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা || লালমোহন বিডিনিডউজ
লালমোহন বিডিনিডউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জের প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের পরিবারের ভোগদখলীয় সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা ও ফসলাদি বিনষ্টের অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে জবরদখলকারীদের কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তোফায়েল আহমেদের ছেলে প্রভাষক মোঃ মুরাদ। রবিবার বিকেলে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালে দৌলতখানের বাসিন্দা ও বিটিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের ও তার ভাইবোনদের কাছ থেকে ফরাজগঞ্জ মৌজার ২৩নং জেএল এ এসএ ২৪নং খতিয়ান, যা পরবর্তীতে বিএস জরিপের খতিয়ান নং-১০৮/৫৫১/৭১৭/১০৫৩/১২৩২/১৪২২ ও ১৪১৯ এ ১১ একর ৫২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ। এরপর থেকে ওই সম্পত্তিতে বাগান, পুকুর ও চাষাবাদ করে আসছেন তোফায়েল আহমেদের পরিবার।
তবে করোনাকালীন সময়ে ওই এলাকার কিছু ভূমিদস্যু জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৫/২০২০ইং। মামলার ভিত্তিতে ওই জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন আদালত। তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই জমির ফসলাদি বিনষ্ট করছে একই এলাকার আফাজ উদ্দিন, রুহুল আমিন, মোঃ আবু, মোঃ মোতাহার, আল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মোঃ খলিল, আলী হোসেন, জাফর ও সোহেলরা জমি জবরদখলের নেশায় রাতের আঁধারে ঘর তোলার পরিকল্পনা করে।
খবর পেয়ে গত ১৮ মে জবরদখল চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তোফায়েল আহমেদের ছোট ছেলে মোঃ এনামূল হাসান।
এরপরও ক্ষ্যান্ত না হয়ে তোফায়েল আহমেদ গংদের পুকুর থেকে মাটি কেটে পুকুর পাড়ে ঘর উত্তোলণের জন্য ভিটে তৈরি করে প্রতিপক্ষরা। বিষয়টি সাংবাদিকদের কে সরেজমিনে দেখাতে গেলে প্রতিপক্ষ মোঃ আবু গংদের কাছে হেনস্তার শিকার হন তোফায়েল আহমেদের বড় ছেলে মোঃ মুরাদ।
ভূমিদস্যুদের জবরদখল ও হেনস্তা থেকে বাঁচতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।