রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহন ফোন দিয়ে ডেকে এনে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ || লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন ফোন দিয়ে ডেকে এনে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ || লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে ডেকে এনে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাতিজা মাইনুদ্দিন, ভাগ্নে রুবেলসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকাল ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের দেবীরচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত ওই শিক্ষকের নাম মোঃ কবির হোসেন। তিনি ‘দেবীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এর প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন বলেন, রবিবার সকালে আমার মুঠোফোনে কল দেয় বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ মেলকারের ছেলে মোঃ রাসেল মেলকার। এসময় আমার উপর ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ তুলেন তিনি। আমি তার অভিযোগ অস্বীকার করলে ফোন কেটে দেয় রাসেল।
কিছুক্ষণ পর কবির হাওলাদার নামে আরেকজন ফোন দিয়ে কাজ আছে বলে দেবীরচর বাজারে যেতে বলে। ওই বাজারে পৌঁছামাত্রই আমার উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে কবির হাওলাদার, চেয়ারম্যানের ভাতিজা মাইনুদ্দিন ও রুবেলসহ আরও কয়েকজন।
একপর্যায়ে তারা পা থেকে জুতা খুলে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে জুতোপেটা করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ওই শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবির হাওলাদার বলেন, তাঁকে আমি ডেকে আনিনি। বরং তার সাথে বাজারে মাইনুদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও চেয়ারম্যানের ভাতিজা রুবেল এর সাথে ঝামেলা হয়েছিল। আমি সেটা শুনে সেখানে গিয়েছিলাম।
ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে রাসেল মেলকার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যে কথা উঠেছে তা মিথ্যে। আজ বিদ্যালয়ের বই সংক্রান্ত বিষয়ে ঔই প্রধান শিক্ষকের সাথে ফোনে কথা বলেছিলাম।
বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ মেলকার বলেন, আমি পরিষদের মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমার ছেলে রাসেলও অন্য কাজে ছিল। তবে ঝামেলার কথা শুনে ফোনে ওই শিক্ষকের খোঁজ খরব নিয়েছিল রাসেল। এখন মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ ছড়াছেন তিনি।
লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।