বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ | চরফ্যাশন | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » পুলিশের উপস্থিতিতে বিরোধীয় পক্ষের ঘর ভাঙার অভিযোগ || লালমোহন বিডিনিউজ
পুলিশের উপস্থিতিতে বিরোধীয় পক্ষের ঘর ভাঙার অভিযোগ || লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, লালমোহন ভোলা প্রতিনিধি : ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে কোনও মিমাংসা ছাড়াই বিরোধীয় পক্ষের ঘর ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে ভোলার চরফ্যাশন থানার এসআই মোঃ ইয়াছিনের বিরুদ্ধে। পুলিশের এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে হতাশ ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ৬নং ওয়ার্ডস্থ কর্তারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আনা মিয়ার দুই ছেলে মোঃ আলমগীর ও নাছিরের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এনিয়ে গত বছরের ২১জুন স্থানীয় পর্যায়ে শালিস বসে এবং মিমাংসাও হয়। তবে নাছির ওই শালিস অমান্য করে এখনও জোর জুলুমের মাধ্যমে জমি থেকে উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তার ভাই আলমগীর।
আলমগীর জানান, লালমোহন-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের কর্তারহাট এলাকায় সড়কের উভয় পার্শ্বে দুই ভাইয়ের জমি রয়েছে। উভয় পার্শ্বের জমিতেই সামনের অংশ দাবি করে নাছির। এনিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার শালিসও হয়। সেখানে দুটি জমির একটিতে আমাকে অন্যটিতে নাছিরকে সামনের অংশ বন্টন করা হয়। কিন্তু ওই শালিসনামায় স্বাক্ষর করেও পুনরায় তা অমান্য করে নাছির।
এদিকে শালিসনামা অনুযায়ী চরফ্যাশন মৌজার, জেএল ৬৫, তৌজি নং ৩৪, আরএস ৩৩০ ও এসএ ২৪৫ নং খতিয়ানের জমিতে ছোট টিনসেট ঘর উত্তোলন করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চরফ্যাশন থানা থেকে পুলিশ আনে নাছির এবং থানার এসআই মোঃ ইয়াছিন এসে ঘর থেকে আমাকে ধাওয়া করে। আমি দূরে সরলে ওই এসআই ইয়াছিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নাছির ও তার লোকজনদেরকে দিয়ে আমার ঘরটি ভেঙে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ফজলে করিম নামে এক বৃদ্ধ বলেন, নাছির ও তার ছেলেদেরকে ঘরটি ভাঙতে দেখেছি। ওই সময় চরফ্যাশন থানার দুইজন পুলিশকে ঘরের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা বজলু সর্দার ও প্রিন্স বলেন, থানায় জমি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ উভয়কে ডেকে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারে। কিন্তু নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিপক্ষের ঘর ভাঙা নিছক পক্ষপাতদুষ্ট।
অভিযোগ অস্বীকার করে চরফ্যাশন থানার এসআই মোঃ ইয়াছিন বলেন, চরফ্যাশন সার্কেল অফিসে নাছিরের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে নোটিশ করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।
সমাজে কোনও অন্যায় অবিচার হলে সাধারণ মানুষ থানা পুলিশের আশ্রয় নেয়। যখন ওই পুলিশই রক্ষকের স্থলে ভক্ষকের ভূমিকা নেয়, তখন সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।