সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » কার্যক্রমের অভাবে পরিত্যক্তবস্থায় চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউপি ভবন || লালমোহন বিডিনিউজ
কার্যক্রমের অভাবে পরিত্যক্তবস্থায় চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউপি ভবন || লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি॥ ভোলার
চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জন্য ২০১৩ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে ভবনটি অবহেলায়-অযন্তে পড়ে রয়েছে।
জানা গেছে, বৃহৎ আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদে ২০১১সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন এই বৃহৎ আসলামপুুর ইউনিয়নে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পেছনে পেলে নির্বাচিত হন এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম। স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জনগণের দুর্ভোগ কমাতে বৃহৎ আসলামপুর ইউনিয়নকে দু’টি ভাগে ভাগ করে। বৃহৎ আসলামপুর ইউনিয়নের একটি (উত্তর) নামকরণ করা হয় ওমরপুর ইউনিয়ন। ( দক্ষিণে) আসলামপুর ইউনিয়ন হিসাবে গেজেটও প্রকাশ করছে। ওয়ার্ড বিন্যাসের পর বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি পড়েছে ওমরপুর ইউনিয়নে। বর্তমান ইউপি সদস্যের একটি ওয়ার্ডই দু’টি ওয়ার্ডের বিভক্ত হয়েছে। ফলে যে যে ওয়ার্ডে পড়েছে ওই ওয়ার্ডের পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ের আশায় সরকারি সুযোগ সুবিধা তাঁর ওয়ার্ডেই দিচ্ছে। বাকি ওয়ার্ডের জনগণ সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আসলামপুর ৭নম্বর ওয়ার্ড ভোটার আলমগীর হোসেন বলেন, আংগো ৭নম্বর ওয়ার্ডটি ভেঙ্গে ৩নম্বর ও ৪নম্বর ওয়ার্ড করা হয়েছে। মেম্বারের বাড়ি ৩নম্বার ওয়ার্ডে থাকায় আংগো ওয়াডে ৪নম্বারে কিছুই দেয়না। কিন্তু যদি আংগো মেম্বার এখনো নুরনবী মাঝি। ওয়ার্ড ভাগ হবার পর থেকে নুরনবী মেম্বার সরকারি সুযোগ সুবিধা নিজ ওয়ার্ডের মধ্যে ভাগ ভাটোয়া করে খায়। এভাবে আসলামপুরের বর্তমান মেম্বার আছে ৪জন। ওয়ার্ড আছে ৯টি। ফলে ৪টি ওয়ার্ডের জনগণ সুযোগ সুবিধা পেলেও বাকি ৫টি ওয়ার্ডের জনগণ বঞ্চিত থাকার অভিযোগ তুলেছেন ভোটারেরা। তারা বলেছেন,আমাদের দিকে মেম্বাররা খেয়াল না রাখলেও চেয়ারম্যান সামান্য সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। যদি ২০১৩সালে একটি অত্যাধুনিক মানের ইউনিয়ন পরিষদ নির্মাণ করা হয়। গেজেট প্রকাশের ৮বছর ২০দিন হলেও আজ পর্যন্ত এই দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়নি।
তবে আসলামপুর ইউনিয়নে নির্বাচনে দলীয়ভাবে নমীনেশন পাওয়ার জন্য দু‘প্রাথী উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মিলিটারী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরে আলম মাঠে লড়াই করছেন।
স্থানীয় জনগণ ও দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের ত্যাগী,পরিশ্রমি, দক্ষ সংগঠক হিসেবে আবুল কাশেম মিলিটারী দল থেকে নমিনেশন পাবে। অনেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে দলের ভাল কাজ করলেই নমিনেশন পাওয়ার কথা নয়। ত্যাগী নেতাকর্মীকে দল থেকে নমিনেশন দিতে হবে।
জানা গেছে, ২০১৩সালে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৩লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় আসলামপুর গ্রামের আসলাম হাওলাদার বাড়ির মো.জামাল তালুকদার নামের এক ব্যক্তি কমপ্লেক্সে ভবনটি নির্মাণের জন্য প্রায় ১০লাখ টাকার মূল্যের এক একর জমি দান করেন। জমিদাতার স্বপ্ন অনুযায়ী কমপ্লেক্সে ভবন নির্মাণ করা হলেও সাধারণ জনগনের কোন কাজে আসছে না।