শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | বোরহানউদ্দিন | ভোলা | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহন-ঢাকা রুটের লঞ্চে তিল ধারনের ঠাঁই নেই যাত্রীদের মাঝে শঙ্কা।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন-ঢাকা রুটের লঞ্চে তিল ধারনের ঠাঁই নেই যাত্রীদের মাঝে শঙ্কা।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ: ভোলার লালমোহন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে এমভি তাসরিফ-৩ ও ফারহান-৫ লঞ্চ। শনিবার বিকেলে লালমোহন মঙ্গল সিকদার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ গুলোতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। ডেক ও কেবিন পূর্ণ হওয়ার পর মাস্টার ব্রিজেও ঠাঁই নিয়েছেন অনেক যাত্রী। জানা যায়, তাসরিফ-৩ লঞ্চটি ৩৮০ যাত্রী ধারন ক্ষমতার। তবে লঞ্চটি সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে লালমোহন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
লঞ্চের মাস্টার ব্রিজে অবস্থান নেয়া তাহজিব নামে এক যাত্রী জানান, রবিবার অফিস খোলা বিধায় বাধ্যতা মূলক ঢাকায় যাওয়া লাগতেছে। কর্ণফুলী লঞ্চে কেবিন নিলেও সেটা বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত বোঝাই যাত্রীর মধ্যেও উঠতে হয়েছে। এখন ১হাজার টাকা ভাড়ায় মাস্টার ব্রিজে জায়গা নিয়েছেন, তবে ঘুমানো থাক দুরের কথা, দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন সরকারি বন্ধের পর রবিবার অফিস খোলা থাকায় অন্যদিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে চরফ্যাশনের বেতুয়া থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী ৩টি লঞ্চের মধ্যে কর্ণফুলী-১৩ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
আলাপকালে তাসরিফ-৩ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ আবদুর রহিম জানায়, একটি লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। ফলে আজ তাসরিফের সবগুলো কেবিন পূর্ণ।
তাসরিফ-৩ লঞ্চে পরিবার নিয়ে উঠেছেন মিথুন নামে এক যাত্রী। আলাপকালে তিনি জানান, লঞ্চটিতে পা রাখার জায়গা নেই। শীতের মধ্যে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও তাসরিফ-৩ লঞ্চের স্টাফদের আচরণ খারাপের অভিযোগও করেন তিনি।
তাসরিফ-৩ লঞ্চের আনসার কমান্ডার মো. লিটন জানান, লঞ্চটিতে ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ যাত্রী উঠেছেন। লঞ্চের যাত্রী ধারন ক্ষমতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাড়ে ৭শ যাত্রী ধারন ক্ষমতা রয়েছে লঞ্চটির।
অন্যদিকে লঞ্চের কেরানি মো. কামাল জানায়, তাসরিফ-৩ লঞ্চের যাত্রী ধারন ক্ষমতা এক হাজার।
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয়ে জানতে তাসরিফ-৩ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. আলমগীর এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র পোর্ট অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয়ে খেয়াঘাট লঞ্চঘাটে নিয়মিত তদারকি অব্যাহত আছে। তবুও যদি কেউ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চটি ঢাকা থেকে চরফ্যাশনের বেতুয়ার যাত্রী তুলতে গেলে সদরঘাটে ভিড়ানোর সময় হাতিয়া রুটের তাসরিফ-২ লঞ্চের পিছনে ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয় তাসরিফ-২ কর্তৃপক্ষ। পরে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের যাত্রা বাতিল করে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। ফলে দুটি লঞ্চ হওয়ায় যাত্রী ভোগান্তি বেড়ে গেছে।