শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | ধর্ম-কর্ম | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩২ জনকে গণকবর।। লালমোহন বিডিনিউজ
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩২ জনকে গণকবর।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্কঃ “এমভি অভিযান-১০’” লঞ্চে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। এরমধ্যে ৩২ জনের জানাজা শেষে দেয়া হয়েছে গণকবর। এদিকে, নিখোঁজদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার বেলা ১১টায় জানাজার জন্য বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে এনে রাখা হয় সারি সারি মরদেহ। পরিচয় শনাক্তের জন্য স্বজনদের অপেক্ষা। কিন্তু শনাক্ত করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
এরপর সার্কিট হাউজ মাঠেই ৩২ মরদেহের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর বরগুনা পোটকাখালী গণকবরে ৩২ জনের দাফন করা হয়। জানাজায় নিহতদের আত্মীয়স্বজন ছাড়াও প্রশাসনের লোকজন, এলাকাবাসী অংশ নেয়।
এছাড়া আগুনে নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। বাকিদের ডিএনএ স্যাম্পল রেখে দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, আজ সকাল থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান। উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ এবং কোস্টগার্ড তিনটি উদ্ধারকারী দল। পুড়ে যাওয়া লঞ্চ পরিদর্শন করেছে সাবেক নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান খান। কাজ শুরু করেছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ঝালকাঠি লঞ্চ ঘাটে এনে রাখা হয়েছে।
আর সন্ধান না পাওয়া স্বজনদের জন্য নদীতীরে মানুষের অপেক্ষার প্রহর কাটছে। কেউ আবার ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনকে। কারো হাতে নিখোঁজদের ছবি। তা নিয়ে নদী তীরের বাসিন্দাদের দেখাচ্ছেন, আর বিলাপ করছেন। কেউ আবার নদী তীরের মিনিপার্ক, ডিসিপার্ক, লঞ্চঘাট এবং ঘটনাস্থল দিয়াকুল এলাকায় ঘুরছেন। অন্তত নিখোঁজ স্বজনদের মরদেহ যেন বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, সেই অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
অন্যদিকে, আজ সকালে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন ৬ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
এদিকে, দগ্ধ ৪৭ জনের চিকিৎসা চলছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাদের চিকিৎসায় ঢাকা থেকে ৭ সদস্যের টিম এবং বরিশালের অর্ধশতাধিক চিকিৎসক টিম কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০ জনের বেশি। তাদেরকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল ও ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।