সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কোর্ট-কাচারী | জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে কর মামলা আদালতে খারিজ।। লালমোহন বিডিনিউজ
ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে কর মামলা আদালতে খারিজ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্কঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুই জনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা খারিজ করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল বক্তব্যের অভিযোগে মামলার আবেদন জমা দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ওমর ফারুক ফারুকী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মুরাদ হাসান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ও আসামি নাহিদ ডিজিটাল মিডিয়া উপস্থাপক। আসামি নাহিদ গত ১ ডিসেম্বর মুরাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। যা পরে মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকার প্রদানকালে আসামি মুরাদ উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যে কোনো নারীর জন্য মর্যদাহানীকর ভাষা ব্যবহার করেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ফলে সমাজে তথা রাষ্ট্রের সর্বমহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ও বক্তব্য দিয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে অপমান অপদস্থ ও হেয় প্রতিপন্ন কারার অভিপ্রায়ে উক্ত ভিডিওটি প্রকাশ এবং প্রচার করেছেন, যা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ফাঁস হওয়া ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তিনি আলোচনা ও সমালোচনার শীর্ষে চলে আসেন, প্রশ্ন ওঠে তার প্রতিমন্ত্রীর পদ নিয়ে।
এমন অবস্থায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানানোর সাথে সাথেই খেই হাড়িয়ে ফেলেন ডা. মুরাদ। পরের দিন দুপুরে মন্ত্রণালয়ে তার স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র পৌঁছায়।