রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ | স্বাস্থ্য » উন্নত চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন-ডা. এফ এম সিদ্দিকী৷৷ লালমোহন বিডিনিউজ
উন্নত চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন-ডা. এফ এম সিদ্দিকী৷৷ লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় খালেদা জিয়ার কোনও রক্তক্ষরণ হয়নি। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
এ সময় তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এই মুহূর্তে যে প্রযুক্তি প্রয়োজন, তা উপমহাদেশে নেই। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া প্রয়োজন।
এসমস্ত চিকিৎসা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে সম্ভব। এখনই দেশের বাইরে না নিলে আবার রক্তক্ষরণ হলে বন্ধের চিকিৎসা দেশে নেই বলেও জানান তিনি। তার মতে, খালেদা জিয়াকে তাদের সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে শনিবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেন উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশনেত্রীর যে অসুখ, তা প্রধানত পরিপাকতন্ত্রের। কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে, এটাকে বের করার জন্য আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তাররা কয়েদিন ধরে চিকিৎসার যে পদ্ধতি আছে, সে অনুযায়ী বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তারা আর এগোতে পারছেন না।’
মহাসচিব আরও বলেন, ‘সে ধরনের কোনো টেকনোলজি দেশে নেই, যে টেকনোলজি দিয়ে চিকিৎসকেরা সেখানে পৌঁছাতে পারেন। যেখানে এ ডিভাইসগুলো আছে, টেকনোলজি আছে, যন্ত্রপাতিগুলো আছে। যেখানে গেলে তার সঠিক যে রোগ, সেই রোগের জায়গাটা তারা ধরতে পারবেন। দেশনেত্রী অনেক অসুস্থ। এখন তার জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে পরিপাকতন্ত্র। যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সেটা বন্ধ করা দরকার।’
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর আরও তিন দফায় তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।