সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » সাংসদেরা মদ খেয়ে নাস্তা করে এবং অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে, যাঁকে সামনে পায় তাকে গুলি করে হত্যা করে।………………ভোলায় মেজর হাফিজ।
সাংসদেরা মদ খেয়ে নাস্তা করে এবং অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে, যাঁকে সামনে পায় তাকে গুলি করে হত্যা করে।………………ভোলায় মেজর হাফিজ।
ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কেদ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বীরবিক্রম মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন বাংলাদেশের জনগনের বুকের উপর সন্ত্রাস নির্ভর সরকার বসে আছে । সোমবার সকাল ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মেজর হাফিজ বলেন, ভোট ছাড়া নির্বাচিত সাংসদের পকেটে অস্ত্র ও মদের বোতল থাকে, তাঁরা মদ খেয়ে নাস্তা করে এবং অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে যাঁকে সামনে পায় তাকে গুলি করে হত্যা করে। পেটের শিশুরাও বাদ পড়ছে না। এতোদিন বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে, এখন বিদেশীদেরও হত্যা করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই, কারন দেশে আইন-শৃংখলার ঘোরতর অবনতি হয়েছে। কোনো কিছু হলে বলে, এটা জঙ্গিরা করেছে। বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষক।’
সাবেক মন্ত্রী বলেন, এবার বিদেশীদের হত্যার পরে সরকার বলছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গী নেই। তাহলে এতোদিন মিথ্যাচার করলেন কেনো! বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলকে জঙ্গী আখ্যা দিলেন কেনো!’
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ পৌর-নির্বাচন নিয়ে বলেন, আগামী বছর পৌর-নির্বাচন হবে। নেত্রী দেশে ফিরে এলে ২০ দলের জরুরী বৈঠক করবেন। তক্ষুনি সিদ্ধান্ত হবে এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধিনে নির্বাচনে যাব কি’না। কিন্তু বিএনপি কোনো অন্যায়কে বিনা চ্যালেঞ্জে মেনে নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভোট বিহীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবো।
সাধারন মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমুনি নিষ্ঠুর সরকার যে, জেলখানায় কাউকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয় হয় না।
এ সময় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক মিয়া প্রমূখ।