শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | দৌলতখান | বরিশাল | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার দৌলতখানে রাতের আঁধারে জাহাজ থেকে তেল চুরি! ॥ লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলার দৌলতখানে রাতের আঁধারে জাহাজ থেকে তেল চুরি! ॥ লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিসস্ব সংবাদদাতা : ভোলার দৌলতখানে রাতের আধাঁরে জাহাজ থেকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত পেট্রোল, ডিজেল, সয়াবিন তৈলসহ বিভিন্ন মালামাল কালোবাজারির মাধ্যমে বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন ধরে এ কালোবাজারী ব্যবসা চালিয়ে আসলেও থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থ নিচ্ছেই না। বরং দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় কালোবাজারী ব্যবসা চলছে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তরা জানায়, নদীতে ভাটা জোয়ারের সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন জাহাজ দৌলতখান চৌকি ঘাট পয়েন্টে নোঙর করে গভীর রাতে জাহাজ থেকে ডিজেল, পেট্রোল ও সয়াবিন তেলের শত শত ব্যরেলযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট দৌলতখান থানার সামনে দিয়ে বাজারসহ দৌলতখানের বিভিন্ন জায়গায় সরবারহ করে থাকেন। চোরাকারবারী চলার সময় ওসি বজলার রহমান এর নির্দেশে একদল সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এ এস আই) পাহার দিয়ে থাকেন। ব্যরেল প্রতি দুই থেকে তিনশত টাকা করে ওসি বজলার রহমানকেপুুুলিশ সদস্যরা বুঝিয়ে দেন। ওই টাকা ওসি বজলার রহমানের কাছে দিলে তিনি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মাঝে মাসিক দুই হাজার টাকা করে বন্টন করে থাকেন। দৌলতখান থানার সামনে দিয়ে প্রতিনিয়ত কালোবাজারীর ঘটনা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হলে চোরাকারবারিরা নতুন কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। মাঝে মধ্যে পুলিশ লোকদেখানো দু একটি তেলের ব্যরেল আটক করে আবার গোপনে ছেড়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে । অথচ পুলিশকে তথ্য দিলে এখন আর কালোবাজারী চলছে না বলে তারা জানান। স্থানীয়রা দৌলতখানের চোরা কারবরী সিন্ডিকেট এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে ব্যবস্থ নেয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এখন দৌলতখানের সচেতন জনগণ।
ওসি বজলার রহমান জানান, মাঝে মধ্যে চোরাকারবারির খবর পেলে অভিযান চালিয়ে আটক করে মামলা করা হয়। কোন ভাবেই কালোবাজারীদের সহযোগিতার সুযোগ নেই।