
রবিবার, ২২ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে প্রেমিকের আগুনে ঝলসে গেছে প্রেমিকা || লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে প্রেমিকের আগুনে ঝলসে গেছে প্রেমিকা || লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে প্রেমে প্রত্যাক্ষ্যাত হয়ে প্রেমিকার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড গজারিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রেমিকাসহ তার মা ও বড় বোন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনেরা।
তারা হলেন, ওই এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিবুল্যাহর মেয়ে মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমা (২২) ও স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০)। অভিযুক্ত প্রেমিক মহিউদ্দিন সুমনও একই এলাকার নুরুল ইসলাম পাটোয়ারীর ছেলে।
আহত নাঈমা জানায়, ২০১৭ সালে মহিউদ্দিন সুমনের ফেসবুকে পরিচয় পরবর্তী ১বছর সম্পর্ক ছিল। পরে সুমনের সভাব খারাপ বিধায় দুজনার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর থেকে সুমন প্রায়ই হুমকি ধমকি দিত। এদিকে অন্যত্র বিয়ের কথা হলে শনিবার রাতে বাসায় বর পক্ষ দেখতে আসে, তখন রান্না ঘরে কাজ করছিলেন তিনি।
ওই সময় সুমন ঘরে ঢুকে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় চিৎকার দিলে আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন মা নাজমা বেগম। পরে আগুন থেকে রক্ষা পেতে ঘরের পিছনের পুকুরে ঝাঁপ দেন বলেও জানান জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈম।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফাহাদ নাসির জানান, ওই রোগীরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আগুনে নাঈমার শরীরের বিভিন্নস্থানের প্রায় ২৫ শতাংশ এবং তার মা নাজমা বেগমের হাতের প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ পুড়ে যায়। জান্নাতের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় তার মাকেসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এদিকে মেয়ের শরীরে আগুন লাগানোর ঘটনায় বাবা মো. মহিবউল্যাহ বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১২, তারিখ ২২ আগস্ট ২০২১ইং।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ৯৯৯ একটি কলের ভিত্তিতে হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি। ঘটনার সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে দুই জনকে আসামী করে লালমোহন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।