বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে হত্যার হুমকি দিয়ে র্দীঘদিন ধরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
লালমোহনে হত্যার হুমকি দিয়ে র্দীঘদিন ধরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
লালমোহনে প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে হত্যার হুমকি দিয়ে র্দীঘদিন ধরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মুচীরপোল এলাকার মাদু মাঝি বাড়িতে এঘটনা ঘটে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে ওই শ্বশুর গা ঢাকা দিয়েছে। এঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজানা বিরাজ করছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মাদু মাঝির ছেলে সোহাগের সাথে একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আরজু মাস্টার বাড়ির নুরু মেস্ত্রীর মেয়ে (১৯) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মাদু মাঝির পুত্রবধরূদিকে তার কু-নজর পড়ে।
ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী সোহাগ নদীতে জেলের কাজ করে। তার কারণে অধিকাংশ সময় রাতে সেই বাড়িতে আসে না। এই সুযোগে আমার শ্বশুর আমাকে বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতো। আমি লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতাম না। প্রায় ১ বছর আগে আমর স্বামী নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে আমার শ্বশুর মাদু মাঝি আমাকে ভয় দেখিয়ে রাতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি আমি যেন কাউকে বললে সে আমার সংসার ভেঙ্গে দিবে এবং আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। তার পর থেকে একই ভাবে মাদু মাঝি আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে আসে। তার হত্যার ভয়ে আমি বিষয়টি কাউকে জানায়নি। তার এই যৌন নির্যাতনে আমি অতিষ্ঠ হয়ে উঠি। গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১টার দিকে একই সুযোগ নিয়ে মাদু মাঝি আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে আমি ডাক চিৎকার দিলে সেই আমাকে চেড়ে দিয়ে চলে যায়। পরে ঘরে থাকা ভাসুরের স্ত্রী সাহানুর ও আশপাশের লোকজন আলো নিয়ে চলে আসে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শ্বশুর মাদু মাঝির শাস্তি দাবি করেন।
ঘরে থাকা ভাসুরের স্ত্রী সাহানুর জানান, রাতে তার ডাক চিৎকার শুনে আমি তার কাছে আলো নিয়ে যায়। তার পর থেকে সেই আমার শ্বশুরকে গালি গালাজ করছিল।
মাদু মাঝির স্ত্রী মমতাজ জানান, আমি ঘটনার দিন রাতে বাড়িতে ছিলাম না। সকালে বাড়িতে এসে ছেলে,বউয়ের কাছে এটাই সুনেছি। আসলে আমার স্বামী যদি সত্যিই এই রকম অপরাধ করে থাকে তা হলে তার শাস্তি হওয়া উচিৎ।
ঘটনাটি এলাকয় ছড়িয়ে পরলে জন আতঙ্কে মাদু মাঝি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নী।
ক্ষোব্ধ এলাকাবাসী জানান, মাদু মাঝি অল্প বয়সি ছেলেকে বিয়ে করিয়ে পুত্রবধূর সাথে ব্যাবিচার করে আসছে। এই শ্বশুর নামের কলঙ্ক ও জাহেলি যুগকেও হার মানিয়েছে। এই রকম অপরাধের জন্য তারা কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
এব্যাপারে ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়তুল ইসলাম মিন্টু জানান, আমি স্থানীয় লোকজনের কাছে এরকম একটা ঘটনা শুনেছি। তারপর ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ওই এলাকার সাবেক তিন মেম্বারকে আমি দায়িত্ব দিয়েছি। তারা আমাকে এখনো কিছু জানায়নি বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে লালমোহন সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত পূর্ব ব্যাবস্থা নিব।