বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » খেলা | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয় ।। লালমোহন বিডিনিউজ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয় ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। সেখানে পর পর দু্ই দিনে মিলল দুই জয়। গতকাল পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জেতার পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচটাও জিতল বাংলাদেশ। ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে আজ ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যাতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাংলাদেশ।
বুধবার (৪ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টানা দ্বিতীয় জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১২২ রান, আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে এ আর তেমন কী! কিন্তু এই রান তুলতেও হাঁসফাঁস করতে হলো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে। মিরপুরের উইকেটই হয়ে দাঁড়িয়েছিল বড় বাঁধা।
মন্থর উইকেটে অসমান টার্ন, বাউন্স পাচ্ছিলেন স্পিনাররা। পেসারদের স্লোয়ার ডেলিভারিগুলোও হয়ে উঠছিল ভয়ংকর। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাটিং করে যেমন ধুঁকল, বাংলাদেশ তাড়া করতে নেমেও সহজে এগুতে পারেনি। তবে ঘরের মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শেষ হাসি হাসল বাংলাদেশই। ১৮.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১২৩ রান তুলে ফেলেন টাইগাররা।
১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ ওপেনার সৌম্য সরকার, মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়েছেন কোনো রান না করেই। প্রথম ম্যাচে ৩০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা মোহাম্মদ নাইম শেখ ৯ রান করে ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২১/২।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে তারপর একটা প্রতিরোধ দরকার ছিল। তরুণ শেখ মেহেদি হাসানকে নিয়ে সেটা দারুণভাবে করলেন সাকিব আল হাসান। তিনে নেমে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নিতে চাইলেন হয়তো সাকিব। ১৭ বলে ৪টি চারে তার ২৬ রানের ইনিংসটি বিপদের মুখে সাহস জুগিয়েছে। তবে কিছুক্ষণ পরই আবার সাহসে চীড়ও ধরেছিল।
সাকিব ফেরার পর শূন্য রানে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তরুণ শেখ মেহেদি হাসানও ২৪ বলে ১ ছয়ে ২৩ রান করে ফেরেন কিছুক্ষণ পর। ৯ রানের ব্যবধানে সাকিব, মাহমুদউল্লাহসহ তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন আবারও বিপদে। দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নুরুল হাসান সোহান সেই বিপদ থেকে দলকে কী দারুণভাবেই না টেনে তুললেন।
ষষ্ট উইকেট জুটিতে ৪৪ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন দুজন। আফিফ শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল, তার ৩১ বলে ৩৭ রানের ইনিংসটিতে চারের মার ৫টি, ছক্কা ১টি। উইকেট ধরে রেখে এগুতে থাকা সোহান ২১ বলে ২২ রান করতে চার মেরেছেন ৩টি। অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ১৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন অ্যাস্টন অ্যাগার। দলের বিপদে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা আফিফই হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ১২১ রান তুলেছিল অস্ট্রে্লিয়া। বাংলাদেশি স্পিনাররা শুরু থেকেই চাপে রেখেছিলেন অজিদের। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের বড় বিপদে ফেলেন দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আজও অ্যালেক্স ক্যারিকে (১১) শুরুতে ফেরান শেখ মেহেদি হাসান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে অপর ওপেনার জস ফিলিপসকে (১০) বোল্ড করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপরে শক্ত একটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন মিচেল মার্শ ও মোয়সেস হেনরিক্স। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটি ছিল ৫৭ রানের।
প্রথম ম্যাচের মতো আজও উইকেট ধরে রেখে রানের চাকা সচল রাখতে চেয়েছেন মার্শ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার আজও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শরিফুল ইসলামের সুইং মিস করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪২ বলে ৫টি চারে ৪৫ রান করেছেন। হেনরিক্স হাত খুলতে চাইতেই সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড ২৫ বলে ৩০ রান করে।
এই দুজন ফেরার পর বাকিরা সেভাবে প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। এরপর বলার মতো রান করতে পেরেছেন কেবল মিচেল স্টার্ক (১০ বলে ১৩*)। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান চার ওভারে ২৩ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। শরিফুল ২৭ রানে নিয়েছেন দুই্ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও মেহেদি।