বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » অভিযান-জরিমানার মধ্যেও লালমোহনে মানুষ ও যানের অবাধ চলাচল: বাড়ছে করোনার ঝুঁকি ।। লালমোহন বিডিনিউজ
অভিযান-জরিমানার মধ্যেও লালমোহনে মানুষ ও যানের অবাধ চলাচল: বাড়ছে করোনার ঝুঁকি ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ মহামারী করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগসট পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ভোলার লালমোহনে লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের কে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবুও যেন মানুষের মাঝে বিন্দু পরিমান সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছেনা।
লকডাউনের পঞ্চম ও ষষ্ঠদিন দিনের সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছিল লালমোহনে। এ বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বাজারে অগণিত মানুষ ও ছোট ছোট যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এদের কিছু সংখ্যক মাক্স পরিধান করলেও অধিকাংশকে মাক্স পরিধান করতে দেখা যায়নি।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার লালমোহন পৌর শহরের সদর বাজার, পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া, কালমা ইউনিয়নের ডাওরী বাজারসহ কয়েকটি প্রধান বাজারে ছোট বড় দোকানপাট খোলা। ক্রেতা বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল ছিল লক্ষ্মণীয়। সড়কে বড় ধরনের যাত্রীবাহি পরিবহন না থাকলেও ইজি বাইক, ব্যাটারী চালিত রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
মানুষের ও যান চলাচলের এমন চিত্র ছিল গতকাল মঙ্গলবার ও। গতকাল সকাল থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে, তা আজও। তবুও মানুষের অবাধ চলাচল থেমে নেই।
এদিকে লকডাউন কার্যকরে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও দেখা গেছে। গত ২৩ জুলাই লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই বিধিনিষেধ অমান্যকারী দোকানী ও পথচারীদের কে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) লকডাউনের প্রথমদিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় ১১ দোকানীকে ১০হাজার ২শত টাকা, ২৪ জুলাই (শনিবার) দ্বিতীয় দিনে ৭জনকে ২হাজার ৩শত টাকা, ২৫ জুলাই (রবিবার) তৃতীয় দিনে ১০ জনকে ৬হাজার ৪শত টাকা, ২৬ জুলাই (সোমবার) চতূর্থ দিনে ৯ দোকানী ও ৪ পথচারীসহ ১৩জনকে ৭হাজার ৯শত টাকা এবং ২৭ জুলাই (মঙ্গলবার) লকডাউনের পঞ্চম দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় ১০জন কে ২হাজার ৯শত টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান বাজারগুলোতে গিয়ে এসব অর্থদণ্ডের পাশাপাশি অনেকে দোকানি ও পথচারীকে সতর্ক করা এবং মাক্সবিহীন মানুষের মাঝে মাক্স বিতরণ করেছেন তিনি।
এছাড়াও পৌর শহরের প্রতিটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে লালমোহন থানা পুলিশ। বিনা প্রয়োজনে কেউ বাজারে প্রবেশ করতে চাইলেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবুও যেন সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা ফিরছেনা। অভিযানের পরপরই সড়কে বের হচ্ছে মানুষ, ছোট ছোট যান, খোলা হচ্ছে ছোট ছোট দোকান। এ যেন চোর পুলিশ খেলা চলছে।
এদিকে লালমোহনে হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫৭২জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২১ জনের করোনা পজেটিভ আসে, এদের মধ্যে আইসোলেশনে ছিলেন ৫০জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ৩জন।