শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | চরফ্যাশন | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাশনে আবারও ১৬৫ পিস মরা মুরগী আটক।। লালমোহন বিডিনিউজ
চরফ্যাশনে আবারও ১৬৫ পিস মরা মুরগী আটক।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনের সদর বাজারের এক মুরগি ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ১৬৫ পিস মরা মুরগীসহ মালিক মোঃ ইয়াছিন কে আটক করেছেন পৌর মেয়র মোঃ মোরশেদ৷
শনিবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াছিন এর দোকান থেকে এসব মরা মুরগী আটক করা হয়৷ এ ঘটনায় দোকান মালিককেও আটক করা হয়। আটক ইয়াছিন পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাজল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র মোঃ মোরশেদ ঐ দোকানে গেলে ৩টি বস্তাভর্তি মরা মুরগি দেখতে পায়৷ ঘটনাস্থল থেকে মরা মুরগি ও দোকান মালিককে আটক করে পৌর ভবনে নিয়ে আসেন তিনি৷ এসময় পৌর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম মনির সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷
আটককৃত ইয়াছিন জানান, সাতক্ষীরা থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ৪শত মুরগী ক্রয় করে চরফ্যাশনে আনেন৷ মুরগিগুলো গাড়ি থেকে নামানোর পর দেখি কিছু মৃত আর কিছু মুরগি দোকানে মারা যায়৷ মরা মুরগী কোন হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিলোনা বলেও জানান ব্যবসায়ী ইয়াছিন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ মাহাবুব কবির বলেন, স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বণ ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বণ ডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরে মাংসের সাথে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেকারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, মৃত মুরগিগুলো পৌরসভার দায়িত্বে গভীর মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়েছে৷ এদিকে স্যানিটারী ইনস্পেক্টর এর মাধ্যমে দোকান মালিক মোঃ ইয়াছিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেয়া হয়৷