রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » দৌলতখান | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার দৌলতখানে পৌর নির্বাচন, অগ্রিম শুভেচ্ছায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
ভোলার দৌলতখানে পৌর নির্বাচন, অগ্রিম শুভেচ্ছায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
লালমোহন বিডিনিউজ ,দৌলতখান সংবাদদাতা : চলতি বছরের ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষনা হবে দৌলতখান পৌর নির্বাচনের। হাতে এখনো ২ মাস সময় বাকী থাকলেও ভোটারদের মন পেতে পোষ্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন এবং লিফলেট বিতরন করে ভোটারদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। এ দৌড়ে শুধু মেয়র প্রার্থীরাই নয়, বরং সমান তালে দৌড়াচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। আর সংগত কারনেই দৌলতখান পৌর এলাকা এখন পোষ্টার ব্যানারের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
৫ম বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনের প্রচারনার মাপকাঠিতে এখন পর্যন্ত অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন বাবু। তিনি আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি।
তিনি বলেন, সঠিক বিবেচনা করলে আমি মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে আশাবাদী। তাছাড়া হাই কমান্ডের নির্দেশে দীর্ঘদিন ধরে আমি মাঠে কাজ করছি। থেমে নেই বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন তালুকদারও। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মত বিনিময় সভা ও উঠান বৈঠকের মত কর্মসূচী পালন করছেন তিনি।
তিনি জানান, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের আর্শিবাদ ও আ”লীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিগত নির্বাচনে আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এবারও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমিই জয়লাভ করবো।
এছাড়াও আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি মেয়র প্রার্থী হিসাবে নাম শোনা যাচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মরহুম নজরুল ইসলামের ভাতিজা সামসুল আরেফিন রাজিব এর নাম। অপর এক প্রার্থীর নাম লোকমুখে শোনা গেলেও নির্বাচনী এলাকায় তার কোন প্রচার প্রচারনা নেই। নেই ভোটারদের সাথে যোগাযোগ। তিনি বর্তমান সরকারের বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ এর ভাতিজা ও স্থানীয় সাংসদের আপন চাচাতো ভাই খায়রুল হাসান খোকন।
এদিকে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেও বিএনপির কোন প্রার্থীর নাম নেই এলাকায়। কে প্রার্থী হবেন সেটাও জানেন না বিএনপির স্থানীয় নেতারা।
অপরদিকে আগামী পৌর নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ নেই ভোটারদের। অনেকেই বলছেন এ নিয়ে ভাবার সময় এখনো আসেনি। তবে স্থানীয় প্রার্থী হলে তাকেই বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন অনেক সাধারন ভোটার।