শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » রূপগঞ্জের জুস কারখানায় আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানি
রূপগঞ্জের জুস কারখানায় আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানি
ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় হাশেম অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আজ আরো ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই), বেলা ১টার দিকে কারখানা ভবন থেকে বের করা হয় একের পর এক দগ্ধ মরদেহ। গতকালের ৩ জনসহ এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এ ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন ও কলকারখানা অধিদপ্তর থেকে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিমের এক সদস্যের মাধ্যমে জানা যায়, ভবনটির ৪ তলাতেই ৪৯ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ৫ ও ৬ তলায় এখনো আগুন জ্বলছে। ভবনটির চারপাশ বন্ধ। শুধু সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পথ রয়েছে। যেখানে প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে বাইরে ল্যাডার দিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। আর কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে সেজান জুসের কারখানাটিতে আবারো আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট।
তার আগে, শুক্রবার সকালে, পুলিশ ও স্বজনহারাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন শ্রমিকের খোঁজ না পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তাদের স্বজনেরা। পুলিশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এসময় ব্যাপক ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগ। ছয় তলা এই বিল্ডিংয়ে দ্রুতই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এসময় কারখানা থেকে শ্রমিকদের বের হতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা। আগুন লাগার পর ছয়তলা থেকে লাফ দিয়ে একজন ও আগুনে পুড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। ১৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। পরে আজ সকালে আবারো আগুন লাগে।
আগুন লাগার সময় কারখানাটিতে অনেক শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করছিলেন। তবে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও কারখানার একজন ইঞ্জিনিয়ার জানান, হঠাৎ করে তারা ধোঁয়া দেখতে পান।
আগুনে আহত অন্তত ২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ জন।