
শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে পরকীয়ার সন্ধিহানে বিচারের নামে যুবতীর উপর হামলা করেছে গ্রাম্য মাতাব্বররা
লালমোহনে পরকীয়ার সন্ধিহানে বিচারের নামে যুবতীর উপর হামলা করেছে গ্রাম্য মাতাব্বররা
লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে পরকীয়ার সন্ধিহানে বিচারের নামে এক যুবতীর উপর হামলা করেছে গ্রাম্যমাতাব্বররা। বুধবার সকালে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কারী মিঝি বাড়িতে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কারী মিঝি বাড়ির মতিনের ছেলে আলামিনের সাথে একই এলাকার মাওঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাহাবুদ্দিনের সাথে রাজ মেস্ত্রী কাজ করার সুবাধে সু সর্ম্পক গড়ে উঠে। ওই সুবাদে তাদের মাঝে টাকা লেন দেন হয়। মঙ্গলবার রাতে আলামিন সাহাবুদ্দিনের কাছে পাওনা ৭শ টাকা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। টাকা নিয়ে সাহাবুদ্দিন ওই বাড়িতে আসলে একই এলাকার মিজান, সানু, বাশার সহ কয়েক জন মিলে তাকে আটক করে মতিনের ছোট যুবতী মেয়ে (২০) এর সাথে পরকীয়া সর্ম্পক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে। পরে সাহাবুদ্দিনকে বেধে রাতভর শারিরিক নির্যাতন করে। বুধবার সকালে ওই বাড়িতে গ্রাম্য মতাব্বররা শালীস বসায়। ওই যুবতী অভিযোগ করেন, আমি সাহাবুদ্দিনকে কখনো দেখিনি এবং আমার সাথে তার কোন প্রকার সর্ম্পক নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে গ্রাম্য মাতব্বররা শালীস বসিয়ে নুরুন্নবীও মহিউদ্দিন আমাকে সকলের সামনে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি দেয়। মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে শাস্তি দেওয়া ওই যুবতী ওই সকল বিচারকদের শাস্তি দাবি করেন।
যুবতীর মা বিবি ফাতেমা জানান, এই ঘটনার পর আমার মেয়ে ছুড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করতে যায় এবং লোক লজ্জার ভয়ে ছেলেও গলায় রসি দিতে যায়।
অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন জানান, আলামিনের সাথে আমি রাজ মেস্ত্রী কাজ করি। সেই আমার কাছে ৭শ টাকা পাবে। মঙ্গলবার রাতে আলামিন আমাকে ওই টাকা বাড়িতে দিয়ে আসতে বলে। আমি টাকা নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে এলাকার মিজান, সানু, বাশার সহ কয়েক জন মিলে সাহাবুদ্দিনকে আটক করে মিথ্যা অভিযোগ এনে বেধে রাতভর শারিরিক নির্যাতন করে।
এব্যাপারে ধলীগৌরনগর দক্ষিণ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মাতাব্বর জানান, মেয়ের পরিবারটা অনেক খারাপ। ওই দিন রাতে সাহাবুদ্দিনকে ওই বাড়ি থেকে স্থানীয় লোকজন আটক করে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমরা গ্রাম্য আইন অনুসারে ছেলে মেয়েকে শাস্তি দিয়েছি। আমরা এলাকায় রাজনীতি করি সকল প্রকার শালীসি আমরা করতে পারি।
এব্যাপারে লালমোহন সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত পূর্ব ব্যাবস্থা নিব।