শনিবার, ৮ মে ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে হাসনা হেনা (৪০) নামের এক গৃহবধূকে শরবতের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড ওমর মিয়া চৌকিদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দুই সন্তানের জননী হাসনা হেনা ওই বাড়ির মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে মিজানুরের স্ত্রী। হাসনার বাবা আবুল কাশেম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ৬নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে পেট ব্যাথা ও বমি করায় হাসনা কে লালমোহন হাসপাতাল ভর্তি করে তার স্বামী। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
এদিকে হাসনার ভাই-বোন ও পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ২০ বছর আগে মিজানের সাথে বিয়ে হয় হাসনার। বিয়ের পর থেকে ছোট খাটো বিষয়ে হাসনা কে মারধর করতো তার স্বামী। গত প্রায় দুই বছর আগে হাসনা অসুস্থ হলে তাকে নিজ খরচে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন বলে জানান তার বোন খালেদা। চিকিৎসার পর থেকে হাসনা ঘরের তেমন কোন কাজ করতে পারতেননা, বলেই তার উপর ক্ষিপ্ত থাকতো মিজান। তারই সূত্র ধরে শুক্রবার ইফতারের সময় শরবতের সাথে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন খালেদা।
তিনি আরও বলেন, সকালে বোনের সাথে কথা হয় তার। সে খুবই হাসিখুশি ছিল, কিন্তু সন্ধ্যার পর সে ফোন করে জানায় তার স্বামী তাকে শরবতের সাথে কি যেন খাইয়ে দিয়েছে, তার গলা জলছে। পরে হাসপাতালে এসে বোনের লাশ দেখতে পান তারা।
তবে হাসনা বেগমের শাশুরি মমতাজ বেগম বলেন, হাসনা হেনা আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তাকে বারণ করার পরেও শুক্রবার সে রোজা রেখেছে। সন্ধ্যায় নাতি-নাতনি ও বউসহ (হাসনা) একত্রে ইফতারি করেছি, শরবত খেয়েছি। ইফতারির পরে সে পেট ব্যাথায় চিৎকার ও বমি শুরু করে। পরে রাতেই তাকে হাসপাতাল এনে ভর্তি করি। হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হাসনার মৃত্যুর খবরে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন স্বামী মিজানুর। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
লালমোহন থানার এসআই মাহমুদুল হাসান জানান, হাসনা হেনাকে বিষপানে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তার ভাই মাসুমের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই হাসপাতালে লাশ থানায় আনা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, একটি ইউডি মামলাপূর্বক মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় প্রেরণ করা হয়েছে।