রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে মন্দিরের প্রতিমা ভেঙ্গে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁনোর চেষ্টা !
লালমোহনে মন্দিরের প্রতিমা ভেঙ্গে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁনোর চেষ্টা !
লালমোহন বিডিনিউজ ডেস্ক : লালমোহনে মন্দির ভেঙ্গে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁনোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চর পেয়ারীমোহন শ্রী শী রাধা কৃষ্ণ জিউর মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করার অভিযোগের ভিত্তিতে যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে লালমোহন থানা পুলিশ। এ নিয়ে ধ্রমজাল সৃষ্টি হলে গতকাল সরোজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন ঘটনার দিন রিয়াজ চৌধুরী প্রায় ৩০/৪০ জন লোকের সামনে ঝগরা বিবাদ করে চলে যায় । প্রায় দুই ঘন্টা পর পুলিশ আসলে সে ঐ বাড়ীতে পুলিশের সামনে আসলে তাকে মন্দির ভাঙ্গার অজুহাতে গ্রেফতার করে। স্থানীয় কামাল , হান্নœন, মিলন ও লিটন সহ অনেকে একে পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেন। এদিকে শুক্রবার সকাল ১১ টায় মন্দির ভাংচুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ চৌধুরীকে জেলে প্রেরন কালে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন সহ লালমোহনের প্রায় ২শতাধিক লোক থানার সামনে ভিড় জমায় ও বিক্ষোভ করে ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রিয়াজ চৌধুরী বলেন, আমি এই মামলার বাদী রাহুল চন্দ্র হাওলাদারের পিতার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি । সেই জমি থেকে গাছ কাটতে গেলে বাদল চন্দ্র হাওলাদার গংরা পরিকল্পিতভাবে প্রতিমা ভাঙ্গার নাটক সাজিয়ে আমার নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করে। মন্দিরে হামলা বা প্রতিমা ভাংচুরের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই । এই ঘটনা সম্পূর্ন কাশেম চেয়ারম্যানের কারসাজি। সে এই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙ্গার নামে হিন্দুদের দিয়ে নিরীহ অনেকের নামে মামলা করে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে মামলার বাদী রাহুল চন্দ্রের বাবা বাধল চন্দ্র হাওলাদারের সাথে আলাপ করলে বলেন,আমরা রিয়াজ চৌধুরীকে সরাসরি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙ্গতে না দেখলেও সেই এ এমনটা করেছে বলে তাদের ধারনা। । এব্যাপারে কাশেম চেয়ারম্যান সাথে আলাপ করলে বলেন, রিয়াজ চৌধুরীকে মামলার আসামী করার ব্যাপারে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করেছেন স্থানীয় জনগন। উল্লেখ যে, গত বৃহস্পতিবার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চর পেয়ারীমোহন এলাকায় মন্দিরের সামনে দুটি ভাঙ্গা মুর্তি পড়ে থাকে । এ ঘটনায় রমাগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে রাহুল চন্দ্র হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে লালমোহন থানা পুলিশ। মামলা নং ২