সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে মৃতদের টিপসইয়ে জেলে পূণর্বাসনের চাল উত্তোলন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে মৃতদের টিপসইয়ে জেলে পূণর্বাসনের চাল উত্তোলন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ভোলার লালমোহন পৌরসভার জেলেদের পূণর্বাসনের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলণ হচ্ছে মৃত ব্যক্তির নামে। তবে এসব চাল উত্তোলণের বিষয়ে জানেনা বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবার।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১০৮ জন নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ৯৮ জন জেলের নামে বরাদ্দ আসে।
তবে সূত্র জানায়, এদের মধ্যে কয়েকজন মৃত্যুবরণ করলেও তাদের টিপসইয়ের মাধ্যমে মাস্টার রুলে চাল উত্তোলন দেখিয়েছে লালমোহন পৌরসভা।
পৌর ১নং ওয়ার্ডের মৃত শাহে আলমের ছেলে জানান, বাবা মারা গিয়েছেন দুই বছর আগে, তবে তার নামে কে বা কারা চাল উত্তোলন করছে, তা আমাদের জানা নেই।
একই ওয়ার্ডের নিবন্ধিত জেলে মৃত আবুল কালামের ছোট ভাই নান্নু জানান, ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। তার পরিবার যেহেতু অন্যত্র থাকে, তাই তার নামের চাল আনার সুযোগ নাই।
পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন মেহের বলেন, আমার ওয়ার্ডে জেলে ভাতা কারা পাচ্ছে, কিভাবে পাচ্ছে তা আমার জানা নেই। কারণ পৌর মেয়র বা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ব্যাপারে আমাকে অবগত করেননি। পৌর মেয়র এসব অনিয়মের মাধ্যমে চাল আত্মসাৎ করেছেন বলেও দাবি এ কাউন্সিলরের।
এদিকে পৌরসভার নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে সময়মত চাল বিতরণ না করা, কম দেয়াসহ প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে মনগড়া তালিকা প্রকাশসহ রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ।
গত বৃহস্পতিবার পৌরভবনের স্টোররুম থেকে পরিত্যক্তবস্থায় ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমানের পরিচালনাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ওই চাল গুদামে হেফাজতপূর্বক তা কোন বরাদ্দের আওতায় এবং কেন পরিত্যক্তবস্থায় ছিল, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসার আবদুল কুদ্দুসের নের্তৃত্বে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তদন্ত কর্মকর্তাগণ।
এসময় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নিবন্ধিত জেলেরা দীর্ঘদিন চাল না পাওয়া এবং কম দেয়া নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরতে চাইলে বিষয়টি তাদের আওতায় নেই বলে জানিয়ে দেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, মৃত ব্যক্তিদের নাম আছে কিনা জানা নেই, তবে থাকতেও পারে। যারা চাল উত্তোলন করছে তারা কার্ড দেখিয়ে চাল নিচ্ছে।
স্টোর রুম থেকে উদ্ধার হওয়া চালগুলো জেলেদের। তবে বিতরণকালে চিকিৎসাধীন থাকায় তা সময়মত বিতরণ করা যায়নি বলে জানান তিনি।