মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » বিবিধ » লালমোহনে শপথের আগেই চাঁদাবাজির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে শপথের আগেই চাঁদাবাজির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬নং ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ কাউসারের বিরুদ্ধে দুই যুবককে আটক, মারধর পরবর্তী চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার রাতে ওই ওয়ার্ডের সাদাপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে সাদাপুল এলাকায় ইউপি সদস্য কাউসারের বাড়ির পার্শ্বে মাওঃ আবুল ফারহার নির্মাণাধীন ঘরে বেড়াতে আসে পার্শ্ববর্তী বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জেরহাট এলাকার সবুজ ও রিয়াজ নামের দুই যুবক। ওইদিন রাতে দুই যুবককে আটক পরবর্তী তাদের কে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে পরিবারের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা নেয় ইউপি সদস্য কাউসার।
ওই বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ ইয়াছিন বলেন, বাড়িতে বেড়াতে আসা মেহমানদের ঘরে রেখে স্থানীয় গজারিয়া বাজারে যাই। সেখান থেকে বাসায় ফিরলে স্থানীয় মাজেদ, সোহাগ ও এনজাদ জুয়া খেলতে এখানে আসে। এ সময় তাদের কে জুয়া খেলতে বাঁধা দিলে ফিরে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্য কাউসারকে নিয়ে আসে জুয়ারীরা। পরে ইউপি সদস্যসহ জুয়ারীরা আমার ঘর তল্লাশী করে। কোন কিছু না পেলেও আমাদের দুই মেহমানকে বিভিন্ন অজুহাতে সন্দেহের তালিকায় নিয়ে তাদের কে নাজেহাল করে এবং আটক করে। পরে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করে। এসময় হট্টগোল এড়াতে আমি ৩ হাজার টাকা দিতে রাজি হই। কিন্তু তারা তা না মেনে দুই মেহমান কে আটক করে মেম্বারের ঘরে নিয়ে যায়।
এদিকে ইউপি সদস্যের হাতে আটক দুই যুবকের মামা রাকিব জানান, রাতে মেম্বার আমাকে ফোন দিলে ভাগ্নেদের কে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে আমার ০১৭০৪৮৪৩৪৭৮ নাম্বার থেকে মেম্বারের ০১৭২২৯৫৮৫৩ নাম্বারে ১৮হাজার টাকা বিকাশ করি এবং ভাগ্নেদের সাথে থাকা আরও ৩হাজার টাকাও রেখে দেয় মেম্বার। পরে ভাগ্নেদের কে ছেড়ে দিলেও আরও টাকার জন্য তাদের কে আনতে যাওয়া ব্যক্তির মোটরসাইকেল ও ভাগ্নেদের ব্যবহৃত মোবাইল রেখে দেয় ইউপি সদস্য কাউসার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য কাউসার বলেন, যারা আটক করেছে তাদের খরচের জন্য টাকা চেয়েছে তারা। আমি কোন টাকা নেইনি। তবে ওই দুই যুবকের প্রতি সন্দেহের সত্যতা নিশ্চিতের জন্য তাদের মােবাইল রাখা হয়েছে। আর মোটরসাইকেল মালিক জুয়েল আমার মামাতো ভাই। তার মোটরসাইকেল আটক করা হয়নি।
এদিকে শপথ নেয়ার আগেই সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্যের এমন চাঁদাবাজির ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয় সাধারণ মানুষের।