সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | জাতীয় | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ | সিলেট » সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু: এসআই আকবর গ্রেপ্তার।।লালমোহন বিডিনিউজ
সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু: এসআই আকবর গ্রেপ্তার।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে কানাইহাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১১ই অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হয় নগরীর নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে (৩৩)। ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।
প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। এরপর পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায়।
এর প্রেক্ষিতে, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌওহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস।
তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী, কনস্টেবল সজিব হোসেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, ১০ই অক্টোবর রাত ৩টা ৯ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে স্বাভাবিক অবস্থায় রায়হানকে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে আনা হয়। পরে সকাল ৬টা ২৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে ফাঁড়ি থেকে বের করা হয়। ৬টা ৪০ মিনিটে ভর্তি করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
রায়হানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য ১৫ই অক্টোবর কবর থেকে রায়হানের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। নেয়া হয় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ১১১টি আঘাতের চিহ্নের কথা বলা হয়। যার মধ্যে ১৪টি গুরুতর ছিলো বলে উল্লেখ করা হয়ে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, রায়হানের দুটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়। মৃত্যুর ২ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে এসব নির্যাতন চালানো হয়। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।