মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে মনপুরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ।।লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, মনপুরা প্রতিনিধি : মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও অব্যহত ভাঙ্গনে ভোলার মনপুরা উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া ও উত্তর সাকুচিয়া মনপুরা ইউনিয়নের একাধিক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গনে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে নদী সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের।মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও অব্যহত ভাঙ্গনে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ৯ওয়ার্ডের সধ্য উদ্বোধন হওয়া মনপুরা দখিণা হাওয়া সী বীচে যাওয়ার একমাত্র সংযোজন সড়ক হেলাল তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এখানে প্রায় দশ হাত বেড়িবাঁধ ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আর মাত্র এক হাত বাকি রয়েছে। যা দিয়ে রাতের জোয়ারেই পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।এই ছাড়াও মনপুরা নিন্মঅঞ্চল গুলো পানির নিচে তলিয়েগেছে।মানবেতর জীবন যাপন করেছে পানি বন্দি হওয়া লোকজন। স্থানীয়রা জানান হঠাৎ অস্বাভাবিক জোয়ার প্রভাবে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়া দেখাদিয়েছে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন। এর আগেও আম্পানে মনপুরা ব্যাপক বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে যায়। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধানের কোন কার্যকর ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত কেউ গ্রহণ করেনি। প্রতিবার ভেঙ্গে যায়, আমরা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হই। ভাঙ্গনের ফলে মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং আমরা অর্থনৈতিকভাবে বছরের পর বছর ধরে দুর্বল হয়ে পড়ছি। চলতি অমাবশ্যার সময় হেলাল তালুকদার বাড়ীর পাশের বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত।
বাঁধটি মেরমতে দ্রুত সরকারি বরাদ্দের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী । এদিকে সরেজমিনে রহমানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মনপুরা দখিণা হাওয়া সী বীচের সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১০ হাত বেড়িবাঁধ মেঘনা নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এর আগে আম্পানে বাঁধটিতে ভাঙ্গন লেগে গেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই বস্তাগুলি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আরো মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোন মুহুর্ত্বে এ বাঁধ ভেঙ্গে মনপুরা বিস্তির্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। ভাঙ্গনের আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারেরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।